বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন তার দলের সঙ্গে সমন্বয় করে করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফনসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে এক ব্রিফে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, আগামীকাল বুধবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ’র দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সকালে এভারকেয়ার থেকে সংসদ ভবনে আনা হবে তার মরদেহ। এ সময় রাস্তার দু’পাশে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আনা হবে মরদেহ। জানাজা, দাফন সব পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হবে।
তিনি আরও বলেন, জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টা, বিএনপি নেতা, কূটনীতিকরা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও সংসদ, বাংলাদেশের দূতাবাস, বিএনপির পার্টি অফিসে শোক বই খোলা হবে।
জানাজা ও দাফন ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা জোরদার করা হবে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ১০ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিরাপত্তায় থাকবেন। এমনকি কিছু জায়গায় সেনাবাহিনী থাকবে।
অন্যদিকে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শামসুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বেগম খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার থেকে সংসদ পর্যন্ত নেওয়ার সময় পুরো রাস্তায় তাকে শ্রদ্ধা জানানো যাবে।
প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে জানানো হয়, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ সকাল ৬টায়, ফজরের নামাজের ঠিক পরে ইন্তেকাল করেছেন। আমরা তার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং সবার কাছে দোয়া চাইছি।’
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। এ সময় হাসপাতালে তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পরিবারের নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

