২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। পূর্বনির্ধারিত ৩০ ডিসেম্বরের পরিবর্তে আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) ও ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত ভর্তি প্রক্রিয়ার সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সংশ্লিষ্ট সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ বা ইউনিটে ভর্তি কার্যক্রম চলবে। এর আগে এই সময়সীমা ছিল ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত।
ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ভর্তি হতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নিম্নোক্ত মূল কাগজপত্র ও সত্যায়িত কপি সঙ্গে আনতে হবে— এছাড়া ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও ফলাফলের (রেজাল্ট শিট) কপি, এইচএসসি পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড, এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও মূল সনদপত্র, সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান প্রদত্ত প্রশংসাপত্র, নাগরিকত্বের সনদপত্র, সদ্য তোলা চার কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত রঙিন ছবি এবং কোটাভুক্ত ও পার্বত্য জেলা বা উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত মূল সনদপত্র।
মেধাতালিকা ও আসন সংখ্যা
গত ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার নম্বর যোগ করে মোট স্কোর নির্ধারণ করা হয়। এই স্কোরের ভিত্তিতে দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার ৪১ জন এবং সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও ৮টি ডেন্টাল ইউনিটে ৫৪০ জন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
মাইগ্রেশন নীতিমালা
ভর্তি সম্পন্নের পর শিক্ষার্থীরা কলেজ পরিবর্তনের জন্য (মাইগ্রেশন) অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর জানিয়েছে, একজন শিক্ষার্থী বিধিমালা অনুযায়ী সর্বোচ্চ তিনবার মাইগ্রেশনের সুযোগ পাবেন।

