ওজন নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়: চিনি দ্রুত ক্যালরি যোগ করলেও দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে না। অতিরিক্ত চিনি খেলে অপ্রয়োজনীয় খাবারের লোভ বাড়ে। চিনি কমালে ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয় এবং ধীরে ধীরে ওজন কমতে শুরু করে।
ত্বক হয়ে ওঠে স্বাস্থ্যসম্মত ও উজ্জ্বল: অতিরিক্ত চিনি শরীরে ইনসুলিন বাড়িয়ে প্রদাহ সৃষ্টি করে, যার প্রভাব দেখা যায় ত্বকের সমস্যা। ব্রণ, ফুসকুড়ি বা নিস্তেজ ভাব। চিনি কমালে এসব সমস্যা কমে, ত্বক সতেজ ও উজ্জ্বল দেখায়।
শক্তি ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়: চিনির কারণে রক্তে গ্লুকোজের ওঠানামা দ্রুত হয়। এতে হঠাৎ শক্তি আসে, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে ক্লান্তিও আসে। চিনি কমালে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল থাকে, ফলে সারাদিনে শক্তি বজায় রাখা সহজ হয়।
ঘুমের মান উন্নত হয়: চিনি শরীরে কর্টিসল হরমোন বাড়িয়ে দেয়, যা ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। চিনি কমালে মানসিক শান্তি আসে এবং ঘুম গভীর ও শান্ত হয়।
দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে: চিনি দাঁতের ক্ষয়ের অন্যতম কারণ। মুখের ব্যাকটেরিয়া চিনি ভেঙে অ্যাসিড তৈরি করে, যা দাঁতের ক্ষয় ঘটায়। চিনি কমালে দাঁত মজবুত থাকে এবং ক্যাভিটির ঝুঁকি কমে।
মানসিক শান্তি ও মেজাজের স্থিতিশীলতা: চিনির ওঠানামা শুধু শরীরকেই নয়, মস্তিষ্ককেও প্রভাবিত করে। অতিরিক্ত চিনি খেলে উদ্বেগ, অস্থিরতা ও খারাপ মেজাজ দেখা দেয়। চিনি কমালে মন শান্ত থাকে এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে সহজ হয়।
তথ্যসূত্র: মায়ো ক্লিনিক

