ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুই প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক উল্লেখ করে এর পেছনে দেশবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, কেউ কেউ এসব ঘটনার সুযোগ নিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে।
আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি সামনে ক্ষমতায় গেলে দেশ পরিচালনার পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ নেতাকর্মীদের সামনে তুলে ধরেন। প্রতিশ্রুতি দেন জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা, দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং ফ্যামিলি কার্ডের মতো জনবান্ধব সেবা চালুর।
এসময় হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামে প্রার্থীদের ওপর হামলা করে একটি মহল ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে।
আগামী নির্বাচন খুব একটা সহজ হবে না বলে নেতাকর্মীদের সতর্ক করে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন, ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। তাই নিজেদের মধ্যে ঐক্য বজায় না রাখলে তা দেশের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
তারেক রহমান আরও বলেন, ষড়যন্ত্র থেমে নেই। দেশের কল্যাণে আমরা যদি ঐকবদ্ধ না হই তাহলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। ষড়যন্ত্র থামানো যাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে, তাই যেকোনো মূল্য নির্বাচন হতে হবে।
এছাড়া তারেক রহমান প্রতিশ্রুতি দেন, ক্ষমতায় গেলে ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে জনগণকে দ্রুত ও উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করবে বিএনপি সরকার। এ লক্ষ্যে নিয়োগ দেওয়া হবে ১ লাখ প্রশিক্ষিত হেলথ কেয়ারার। পাশাপাশি বিদেশে অদক্ষ শ্রমিকের বদলে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির ওপরও জোর দেন তিনি।
বক্তব্যের শেষে তারেক রহমান বলেন, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ বা বিস্তারিত পরিকল্পনা একমাত্র বিএনপিরই আছে। অন্য কোনো রাজনৈতিক দল এখন পর্যন্ত দেশ পরিচালনার এমন সুনির্দিষ্ট রূপরেখা তুলে ধরতে পারেনি।

