spot_img

হাঁপানি-শ্বাসকষ্টের আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে ফুসফুসের ক্যান্সার

অবশ্যই পরুন

দীর্ঘদিন ধরে সর্দি-কাশি, হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের মতো সাধারণ উপসর্গগুলো অবহেলা করলে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। চিকিৎসকেরা সতর্ক করে দিচ্ছেন, হাঁপানি (অ্যাজমা) বা সিওপিডি-এর মতো পরিচিত সমস্যার আড়ালে অনেক সময় মারাত্মক ফুসফুসের ক্যান্সার লুকিয়ে থাকে, যা দেরিতে ধরা পড়লে চিকিৎসার কার্যকারিতা কমে যায়।

বিশ্বজুড়ে হাঁপানিসহ ফুসফুসের নানা অসুখ বাড়ছে। কিন্তু অনেক রোগী বা তাদের পরিবার সাধারণ লক্ষণগুলো গুরুত্ব না দেওয়ায় ক্যান্সার ধরা পড়ে দেরিতে। অথচ সময়মতো শনাক্ত হলে ক্যান্সারের চিকিৎসা এখন অনেক বেশি কার্যকর। রোগীর আয়ু বাড়ানো যায়, কখনো সম্পূর্ণ সেরে ওঠাও সম্ভব। তাই চিকিৎসকেরা বারবার সতর্ক করছেন: উপসর্গকে অবহেলা করলে বিপদ বাড়ে।

শ্বাসকষ্ট, শ্বাসে সাঁসাঁ শব্দ, অল্পেই ক্লান্তি—এগুলো হাঁপানি ও ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। যক্ষ্মা বা অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের অসুখেও একই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সমস্যা হলো, দীর্ঘ সময় চিকিৎসা বা নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহারের পরেও এই উপসর্গগুলো কমতে চায় না বা আরও খারাপের দিকে যেতে থাকে।

শীতকালে বা বায়ুদূষণ বাড়লে ফুসফুসের সমস্যার প্রকোপ এমনিতেই বাড়ে। ফলে সাধারণ উপসর্গ কখন গুরুতর হয়ে উঠছে, তা অনেক রোগীই বুঝতে পারেন না এবং দেরিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেন।

চিকিৎসকরা বলছেন, ক্যান্সার সময়মতো শনাক্ত হলে চিকিৎসা এখন অনেক বেশি কার্যকর। রোগীর আয়ু বাড়ানো সম্ভব এবং ক্ষেত্রবিশেষে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভও হতে পারে।

যদি নিম্নোক্ত উপসর্গগুলো দেখা দেয় এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত: বুকের নির্দিষ্ট জায়গায় ব্যথা, দীর্ঘদিন ধরে কাশি, কাশির সঙ্গে রক্ত, অস্বাভাবিক ক্লান্তি ও ক্রমাগত শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, তাহলে চিকিৎসক সাধারণত কিছু পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন।

উপসর্গ গুরুতর মনে হলে চিকিৎসক সাধারণত নিম্নলিখিত পরীক্ষাগুলো করার পরামর্শ দেন:

  • বুকের এক্স-রে বা সিটি স্ক্যান: ফুসফুসে কোনো অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বা টিউমার আছে কি না, তা দেখার জন্য।
  • ব্রঙ্কোস্কোপি ও বায়োপসি: সিটি স্ক্যানে নিশ্চিত হওয়া না গেলে বায়ুনালি ভালোভাবে দেখার জন্য ব্রঙ্কোস্কোপি করা হয়। প্রয়োজনে এর মাধ্যমে বায়োপসি নিয়ে ক্যান্সার নির্ণয় করা সম্ভব।
  • রক্ত পরীক্ষা: পরিস্থিতি অনুযায়ী অন্যান্য আধুনিক পরীক্ষাও প্রয়োজন হতে পারে।

সর্বশেষ সংবাদ

দেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে এক-তৃতীয়াংশ মানুষ: বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশে প্রায় ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অসুস্থতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা যেকোনো অপ্রত্যাশিত...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ