সিলেট টেস্টে সফরকারী আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শক্ত অবস্থানে রয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। মাহমুদুল হাসান জয়ের সেঞ্চুরি এবং সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হকের হাফ-সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় দিন শেষে ৫২ রানের লিড নেয় স্বাগতিকরা।
তৃতীয় দিনে লক্ষ্য ছিল সেই লিড আরও বাড়ানো, পাশাপাশি মুমিনুলের সামনে ছিল এক বছর পর সেঞ্চুরিতে ফেরার সুযোগ। তবে মাত্র ১৮ রানের আক্ষেপ নিয়েই থামতে হলো তাকে।
গতকাল বুধবার (১২ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৩৩৮ রান। আজ (বৃহস্পতিবার) তৃতীয় দিনে অপরাজিত দুই ব্যাটার—জয় ও মুমিনুল—দুজনই বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মাত্র ৯ বলের ব্যবধানে দুজনকেই হারায় বাংলাদেশ। ব্যারি ম্যাককার্থির শিকার হয়ে মুমিনুল ফেরেন ৮২ রানে, আর জয় আউট হন ক্যারিয়ারসেরা ১৭১ রানে।
আয়ারল্যান্ডের জন্য আগের দিনটা ছিল হতাশার, প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস। বাংলাদেশের ব্যাটাররা সেই রান টপকে ৫২ রানের লিড নেয়। তবে তৃতীয় দিনের শুরুতে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় অতিথিরা। আগের দিন ৮০ ওভার শেষে নতুন বল না নিলেও আজ সকালেই তা তুলে নেন অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নি।
নতুন বল হাতে প্রথম আঘাতটা হানেন ম্যাককার্থি—আউট করে দেন জয়কে, যিনি তখন ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির পথে। অফস্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক লরকান টাকারের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
এর মাধ্যমে ভাঙে জয়-মুমিনুলের ১৭৩ রানের দুর্দান্ত জুটি। ২৮৬ বল খেলে জয় ১৭১ রান করেন, ইনিংসে আসে ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কা। এর পর মাত্র ৯ বলের ব্যবধানেই ম্যাককার্থি ফেরান মুমিনুলকেও। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা বলটি হালকা ইনসুইং হয়ে ভেতরে ঢুকে ব্যাটের কানায় লেগে দ্বিতীয় স্লিপে থাকা বালবার্নির হাতে চলে যায়।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টে সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন মুমিনুল হক—দলের বিপর্যয়ের সময় খেলেছিলেন ১০৭ রানের অপরাজিত ইনিংস। এরপর টানা ৯ ইনিংসে তিনটি হাফসেঞ্চুরি এলেও শতকের দেখা পাননি তিনি। আজও সেঞ্চুরির অপেক্ষাটা বাড়ালেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ১৩২ বল খেলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৮২ রানের ইনিংস খেলে ফিরেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেট পড়ে ৩৪৬ রানে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৯০ রান সংগ্রহ করেছে টাইগাররা। এতে তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ১০৪ রানে।

