যখন আগ্রাসন ও সামাজিক সংকটের মুখোমুখি হই, তখন নিরপেক্ষ থাকা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন হিজবুল্লাহর মহাসচিব শেখ নাইম কাসেম। তিনি বলেন, প্রতিরোধ আমাদের জীবনের একটি অংশ।
দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম বর্ষপূর্তিতে রোববার (২৬ অক্টোবর) রাতে এক সাক্ষাৎকারে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি সংগঠনের আদর্শ, চলমান পরিস্থিতি ও ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত বিষয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
নাইম কাসেম জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা ক্লান্ত হই না, ক্লান্ত হয়ে আত্মসমর্পণ করা অস্বাভাবিক। হিজবুল্লাহর পথ অটুট ও অবিচল।’
তিনি আরও বলেন, হিজবুল্লাহ তাদের সংগ্রাম পরিচালনা করেছে নেতৃত্ব, পরামর্শ পরিষদ, যোদ্ধা ও সংগঠনের সংশ্লিষ্ট সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায়।
কাসেম বলেন, ‘আমি একা নই—হিজবুল্লাহর পরামর্শ পরিষদ, নেতৃত্ব, যোদ্ধা ও জনগণ সবাই এই প্রচেষ্টার অংশ।’
২০২৪ সালের যুদ্ধে ইরানে না যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে কাসেম বলেন, ‘নৈতিক ও বাস্তব কারণেই আমি ইরান যাইনি। মাঠে থেকে যুদ্ধ পরিচালনার প্রয়োজন ছিল।’
ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেই সময় মহাসচিব ও সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে পূর্ণ যোগাযোগ ও সমন্বয় বজায় ছিল। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাসভবনে হামলা চালানো হয়েছিল নির্ভুল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে। আর ‘তেল আবিবে’ বোমা হামলা ছিল একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিরোধ নেতৃত্ব অত্যন্ত শৃঙ্খলার সঙ্গে কাজ করেছে—প্রয়োজনে যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত করা যেত। আমরা কেবল সামরিক লক্ষ্যবস্তুতেই আঘাত হেনেছি, রাজনৈতিক ও বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করেই প্রতিটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

