ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়েছে। রোববার ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান রাফাহ শহরে অন্তত দু’বার হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এদিকে ইসরায়েলের এক সামরিক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে এবং ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে। তার ভাষায়, হামাস যোদ্ধারা স্নাইপার রাইফেল ও রকেটচালিত গ্রেনেড ব্যবহার করে ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তিনি জানান, এসব ঘটনা ইয়েলো লাইনের পূর্বে ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ঘটেছে, যা যুদ্ধবিরতির স্পষ্ট লঙ্ঘন।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাস যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষের পর রাফাহ শহরের ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বিমান হামলা হয়। ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলোর মতে, দক্ষিণ গাজার বিভিন্ন এলাকায় এখনও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলের টেলিভিশন চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ নিয়মিত যোগাযোগ করছেন।
সরকারি সম্প্রচারমাধ্যমের বরাতে বলা হয়েছে, গুলিবিনিময়ের পর দক্ষিণ গাজায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, রাফাহ অঞ্চলে হামাস ও ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলছে। এছাড়া সেখানে একটি আইইডি বিস্ফোরণে ইসরায়েলি সেনাদের হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এই নতুন উত্তেজনার পেছনে রয়েছে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতাকারী একটি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে হামাসের অভিযানের প্রতিক্রিয়া। স্থানীয়রা মনে করেন, এসব সহযোগীদের প্রতি চরম ঘৃণা থেকেই হামাস তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, হামাস ওই গোষ্ঠীর সদস্যদের খুঁজে পেতে এলাকাজুড়ে অভিযান চালাতে চাইছে, যদিও এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সূত্র: আল জাজিরা