ইসরায়েলের দখলদারিত্ব ও অবরোধে ক্ষতবিক্ষত গাজার জনগণের জন্য খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী নিয়ে সমুদ্রপথে এগিয়ে চলেছে ফিলিস্তিনপন্থি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর জোট ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (এফএফসি) নতুন ত্রাণবাহী নৌবহর। বর্তমানে নৌবহরটি গাজার উপকূল থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার (১৫০ নটিক্যাল মাইল) দূরে অবস্থান করছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) টেলিগ্রামে প্রকাশিত বিবৃতিতে তথ্যটি জানিয়েছে এফএফসি। বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের ফ্লোটিলার নৌবহরটি বর্তমানে গাজার উপকূল থেকে ১৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে রয়েছে। কিছুদিন আগে একই সমুদ্র অঞ্চলে ইসরায়েলি নৌবাহিনী আমাদের ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ মিশনের নৌযানগুলোকে আটক করেছিল, নতুন বহরটি সেই জায়গার কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে।
এফএফসি-এর সদস্য সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কমিটি ফর ব্রেকিং দ্য সিজ অন গাজা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক পোস্টে জানিয়েছে, আমরা গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
জানা গেছে, এবারের নৌবহরে রয়েছে ৯টি ত্রাণবাহী নৌযান, যেগুলোর প্রতিটিতে খাদ্য, ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী রয়েছে। এসব নৌযানে রয়েছেন ১০০-এর বেশি স্বেচ্ছাসেবী, যাদের মধ্যে আছেন বিভিন্ন দেশের মানবাধিকারকর্মী ও সাহায্যকর্মীরা।
মিশনটি ৩১ আগস্ট স্পেনের একটি বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। তবে গাজার জলসীমার কাছাকাছি পৌঁছানোর পর একে একে সব নৌযান আটক করে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। ক্রুসহ সব যাত্রীদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় ইসরায়েলের বন্দরে। এদের মধ্যে কয়েকজনকে এখনো আটক করে রেখেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ, বাকিদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে গ্রেটা থুনবার্গসহ অনেককে গ্রিসে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড সমালোচনা তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ বছর ধরে গাজার সমুদ্র উপকূল অবরোধ করে রেখেছে ইসরায়েল। গাজায় নেই কোনো কার্যকর সমুদ্রবন্দর এবং ইসরায়েলি অবরোধের কারণে আন্তর্জাতিক কোনো নৌযান সেখানে প্রবেশ করতে পারে না। ফ্লোটিলার নতুন বহর যদি গাজা উপকূলে পৌঁছায়, তবে তা হবে ১৮ বছরের মধ্যে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ত্রাণবাহী নৌবহরের নোঙরকরণ।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

