উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) নাটকীয়ভাবে ২-১ গোলে হারিয়েছে সাবেক চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনাকে। ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে বদলি খেলোয়াড় গনসালো রামোসের গোলে জয় নিশ্চিত করে ফরাসি জায়ান্টরা।
শক্তিশালী দুই দলের এই লড়াই ১-১ গোলে ড্র হবে বলেই ধরে নিয়েছিল অনেকেই। কেউ কেউ মাঠ ছাড়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। তবে ফুটবলে শেষ সেকেন্ডেও যে নাটকীয়তা ঘটতে পারে, সেটিই দেখালেন রামোস। তার গোলেই বার্সেলোনার মাঠে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় তিনবার জয়ের রেকর্ড গড়ল পিএসজি।
এই ম্যাচ দিয়েই বার্সার সাবেক কোচ লুইস এনরিকে ফিরলেন বার্সেলোনার মাঠে। আর সেই ফিরে আসাকে স্মরণীয় করে তুললেন গনসালো রামোস ও আশরাফ হাকিমিরা। বিশেষ করে, রক্ষণভাগে হাকিমির অবদান ছিল নজরকাড়া।
ম্যাচের শুরুতেই দারুণ ছন্দে ছিল বার্সেলোনা। ১৯তম মিনিটে ফেরান তোরেসের গোলে এগিয়ে যায় তারা। লামিনে ইয়ামালের পাস থেকে পেদ্রি বল বাড়ান মার্কাস রাশফোর্ডকে, যার ক্রসে ফিনিশিং টাচ দেন তোরেস। এই গোলের মাধ্যমে টানা ৪৫ ম্যাচে গোল করার রেকর্ড গড়ে কাতালানরা।
তবে পিছিয়ে পড়েও পিএসজি ম্যাচে ফিরে আসে। বিরতির সাত মিনিট আগে, ৩৮তম মিনিটে নুনো মেন্ডেসের অসাধারণ দৌড় এবং বার্সা ডিফেন্ডার পাউ কুবারসির দুর্বল প্রতিরোধের সুযোগে বল পেয়ে ১৯ বছর বয়সী সেনি মায়ুলু দারুণ আত্মবিশ্বাসে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান।
প্রথমার্ধের শেষদিকে একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন ব্র্যাডলি বারকোলা। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই একের পর এক আক্রমণে উঠে এলেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না কেউই। ৬৯ মিনিটে আশরাফ হাকিমি বার্সার দানি ওলমোর শট গোললাইন থেকে ব্লক করে পিএসজিকে রক্ষা করেন।
৮৩ মিনিটে লি কাং-ইনের শট পোস্টে লেগে ফিরে এলে হতাশায় ভোগে পিএসজি। তবে ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে, ৯০ মিনিটে হাকিমির পাস থেকে গনসালো রামোস দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে বল জালে পাঠিয়ে জয় এনে দেন প্যারিসকে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো- উভয় দলই বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতিতে খেলেছে। বার্সেলোনার দলে ছিলেন না গাভি, রাফিনহা, ফারমিন লোপেজ ও হুয়ান গার্সিয়া। অপরদিকে, পিএসজির পক্ষে অনুপস্থিত ছিলেন মার্কুইনহোস, উসমানে দেম্বেলে, দেজিরে দুয়ে, খাবিচা খাভারাৎসকেলিয়া ও হোয়াও নেভেস।
তবুও ম্যাচটি ছিল অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং উপভোগ্য—যা অনেকের চোখে আগামী মে মাসে বুদাপেস্টে অনুষ্ঠেয় ফাইনালের সম্ভাব্য এক ঝলক হিসেবে ধরা দিয়েছে।

