বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই ছিল সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর)। তিন ক্যাটাগরিতে পরিচালক প্রার্থী ছিলেন ৫১ জন। এর মধ্যে ক্যাটাগরি-২ ও ৩ থেকে সব মনোনয়নপত্রই বৈধ।
তবে ক্যাটাগরি-১ অর্থাৎ জেলা ও বিভাগের প্রতিনিধিদের মধ্যে তিনজনের মনোনয়নপত্রকে অবৈধ বলছে নির্বাচন কমিশন।
বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্র ৩টি হলো জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার রেদোয়ান ফুয়াদ, চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার শওকত হাসান ও রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার হাসিবুল আলমের।
এদিকে, ঢাকা জেলা ও বিভাগ মিলে ২ পরিচালক আসবে বোর্ডে। ঢাকা জেলা থেকে কাউন্সিলর হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন নাজমুল আবেদীন ফাহিম। আর ঢাকা বিভাগের প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কেবল মাত্র জামালপুরের কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান পরিচালক পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। আপিলে তার মনোনয়ন বৈধতা না পেলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক হবেন বুলবুল ও ফাহিম।
তবে বিসিবির নির্বাচনের আসল উত্তাপ ছড়াচ্ছে ক্যাটাগরি-২। এখানে নির্বাচন যুদ্ধের আগেই শুরু হয়েছে নানা জটিলতা। আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সাথে সমঝোতা হয়েছে ক্লাবগুলোর। যার ফলে ক্লাবের ১২ পরিচালকের মধ্যে ৩ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন বুলবুলের পক্ষে।
মিরপুর পাড়ায় জোর গুঞ্জন, বাকি ৯ পরিচালকের কোরাম পুরণ করতে গিয়ে চোরাবালিতে পড়ে গেছেন একটি পক্ষের নেতা তামিম ইকবাল। বলা হচ্ছে, নিজের অবস্থান শক্ত করতে গিয়ে ক্রীড়াঙ্গনের সাথে সরাসরি জড়িত নয় এমন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তাদের প্যানেলে যুক্ত করেছেন তামিম।
যার ফলে তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন বিসিবির বর্তমান বোর্ডের দুই জনপ্রিয় পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু ও মঞ্জুর আলম। এতেই তামিমের সঙ্গে থাকা পোড় খাওয়া ক্রীড়া সংগঠকরা হয়েছেন অসন্তুষ্ট। অবস্থা এতটাই বেগতিক যে, তালিকায় পরিবর্তন না আনলে ক্লাবের বড় অংশের সমর্থন হারাবেন তামিম ।
তবে ঠিক কোন দিকে যাচ্ছে ক্লাব ক্যাটাগরির সমীকরণ তা সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা মিলবে মঙ্গলবারের মধ্যে। ১২ পরিচালক পদের জন্য ৩০ জন ব্যক্তি মনোনয়নপত্র জামা দিলেও নাম প্রত্যাহারের দিন, রাজনৈতিক পরিবারে সন্তানসহ প্রায় ১০ জন সরে দাঁড়াতে পারে নির্বাচন থেকে।
গুঞ্জন এটাও আছে, সব সমীকরণ মেলাতে না পারলে নির্বাচন নিয়ে নতুন করে ভাবতে পারেন খোদ তামিম ইকবাল-ও।