বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের বোলিং ইতিহাসে নতুন অধ্যায় সূচনা করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অসাধারণ বোলিং প্রদর্শন করে তিনি সাকিব আল হাসানের দীর্ঘদিনের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন।
দলে অন্য পেসাররা যেখানে খরুচে বোলিং করেছিলেন, সেখানে মোস্তাফিজ চার ওভারে মাত্র ২০ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন। কুশল পেরেরাকে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ করিয়ে শুরু করেন নিজের সাফল্যের যাত্রা। এরপর কামিন্দু মেন্ডিসকেও লিটনের হাতে ক্যাচ বানান। শেষ বলটিতে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে লং-অফে তানজিদ হাসানের হাতে ক্যাচ করিয়ে রেকর্ডের মঞ্চে পৌঁছে যান কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ।
এর মধ্য দিয়ে ১১৭ ম্যাচে ১৪৯ উইকেট সংগ্রহ করলেন মোস্তাফিজ, যা সাকিবের সমান। তবে বড় পার্থক্য হলো—সাকিবকে একই সংখ্যক উইকেট নিতে খেলতে হয়েছে ১২৯ ম্যাচ।
এবার মোস্তাফিজের সামনে লক্ষ্য বিশ্বরেকর্ড। আফগানিস্তানের রশিদ খান ১০৩ ম্যাচে নিয়েছেন ১৭৪ উইকেট। সেখান থেকে মাত্র ২৫ উইকেট দূরে আছেন বাঁহাতি এই পেসার। পথে তাকে পেছনে ফেলতে হবে ১৫০ উইকেটধারী ইশ সোধিকে। নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি ১৬৪ উইকেট নিয়ে তালিকার দুইয়ে থাকলেও অবসরে যাওয়ায় তার রেকর্ড ভাঙা সময়ের অপেক্ষা।
শুধু তাই নয়, গত রাতের ৩ উইকেট নিয়ে এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায়ও উঠে এসেছেন মোস্তাফিজ। এখন পর্যন্ত তার শিকার ৭ উইকেট, যা তালিকার তিন নম্বর অবস্থান। তার ওপরে আছেন ভারতের কুলদীপ যাদব (৮) এবং শীর্ষে আছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জুনাইদ সিদ্দিকি (৯)। তবে জুনাইদের দল ইতিমধ্যে বিদায় নিয়েছে। ফলে শীর্ষ উইকেট শিকারীর লড়াইটা গড়ে উঠতে পারে মোস্তাফিজ আর কুলদীপের মধ্যে।