রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে আহত ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রতি সমর্থন জানাতে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) আকস্মিক কিয়েভ সফর করেছেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স হ্যারি। ইউক্রেনীয় রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রিন্স হ্যারি ভোরে ট্রেনে করে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে পৌঁছান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হচ্ছে।
ইউক্রেনীয় রেলওয়ের এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি রাশিয়ার আগ্রাসনে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞ নিজ চোখে দেখতে ট্রেনে কিয়েভ পৌঁছেছেন।’
প্রিন্স হ্যারি তার প্রতিষ্ঠিত ইনভিক্টাস গেমস ফাউন্ডেশন-এর একটি দলের সঙ্গে এই সফরে ইউক্রেনে এসেছেন। এই ফাউন্ডেশন যুদ্ধাহত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পুনর্বাসনে সহায়তা করে। ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হ্যারি বলেন, ‘আমরা এই যুদ্ধ থামাতে না পারলেও, পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে পারি।’
এই সফরে হ্যারি ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া স্বিরিডেনকো এবং প্রায় ২০০ ইউক্রেনীয় সাবেক সেনার সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গেছে। হ্যারির এই সফরের সময়ই যুক্তরাজ্যের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপারও কিয়েভে পৌঁছান। গত সপ্তাহে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই তাঁর প্রথম বিদেশ সফর।
আগামী সোমবার ৪১ বছরে পা দেবেন প্রিন্স হ্যারি। এর আগে, এ সপ্তাহের শুরুতে তিনি প্রায় দুই বছর পর প্রথমবারের মতো ব্রিটেনে গিয়ে বাবা রাজা চার্লস তৃতীয়র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ২০২০ সালে রাজকীয় দায়িত্ব ছেড়ে স্ত্রী মেগানকে নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে যাওয়ার পর থেকে রাজপরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছে।