spot_img

বিয়ের এক বছরের মধ্যেই স্বামীর আত্মহত্যা, ‘ডাইনি’ বলা হতো রেখাকে

অবশ্যই পরুন

হিন্দি সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রীদের একজন রেখা। পর্দার মতো পর্দার বাইরেও তাঁর বর্ণিল জীবন। তাঁর জীবনে অনেক ঘটনাই আছে যা এত বছর পরও আড়ালেই রয়ে গেছে। বিশেষ করে স্বামী মুকেশ আগরওয়ালের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে খুব একটা কথা বলতে দেখা যায় না রেখাকে।

৩৫ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন রেখা। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই তাঁদের সম্পর্ক ভাঙার পথে। দুজনই বিচ্ছেদের কাগজপত্র তৈরি করে ফেলেছিলেন। তবে ভাগ্য পক্ষে ছিল না। তাঁদের বিচ্ছেদ আইনি রূপ নিতে পারার আগেই স্বামী মুকেশ আগরওয়াল আত্মহত্যা করেন। রেখা সব সময়ই চেয়েছিলেন সংসারী হতে। কিন্তু নির্মম বাস্তব তাঁকে বারবার পরীক্ষায় ফেলেছে।

রেখা যখন সিনেমার শীর্ষ নায়িকাদের একজন, তখন তাঁকে নিয়ে গুঞ্জনের অভাব ছিল না। বলা হতো, হিন্দি সিনেমার বিবাহিত নায়কদের সঙ্গে প্রেম করতেন তিনি। এসব ঘটনা নিয়ে সে সময়ের কেচ্ছার অভাব নেই। এসব গুজবের কারণেই তিনি ঠিক করেন যে সিনেমা দুনিয়ার বাইরের কাউকে বিয়ে করবেন।

ভেবেছিলেন, দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশ আগরওয়ালকে বিয়ে করে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করবেন। নিজের ইচ্ছের কথা জানান ফ্যাশন ডিজাইনার বন্ধু বিনা রমণীকে।

বীনা ও মুকেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। বিনাই রেখাকে মুকেশের নম্বর দেন। প্রথমে কথোপকথন ছিল আনুষ্ঠানিক, পরে ধীরে ধীরে সম্পর্ক এগোতে থাকে।

২০০৬ সালে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রেখা খোলাখুলি জানিয়েছিলেন, তিনি কখনোই মা হতে চাননি। তিনি বলেন, ‘আমি কখনো সন্তান চাইনি। সন্তান না থাকায় আমার কোনো অভাব নেই। যদি কখনো আবার বিয়ে করি, তবু সন্তান নেব না।’

মুকেশের মৃত্যুর পর রেখাকে প্রচণ্ড মানসিক চাপে পড়তে হয়। অনেকটা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে যেমনটা হয়েছিল। বিভিন্ন সিনেমা সাময়িকীতে তাঁকে ‘ডাইনি’ বলা হয়, যেন তিনিই মুকেশের মৃত্যুর জন্য দায়ী। শুরুতে তিনি নীরব ছিলেন, অনেক পরে ২০০৪ সালে সিমি গারেওয়ালের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি মুকেশকে হত্যা করিনি।’

রেখা বলেন, ‘যত নিষ্ঠুরই শোনাক, আসলে সেটাই ছিল আমার জীবনের সেরা সময়। কারণ, তখন আমি কিছু মানুষের প্রকৃত রূপ দেখেছিলাম।’

মুকেশের মৃত্যুর পর রেখা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিলেন। সেই স্মৃতি স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘প্রথমে শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ি। এরপর বাজে কথা শুনতে শুনতে ক্রোধে ফুঁসছিলাম। তখন চুপ ছিলাম, কারণ আমি কাউকে আঘাত করতে চাইনি।’
মুকেশের মৃত্যুর পর রেখা আর কখনো বিয়ে করেননি।

সর্বশেষ সংবাদ

জুলাই অভ্যুত্থানের হত্যা মামলা পরিচালনায় সাত সদস্যের কমিটি গঠন

জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে সংঘটিত হত্যা ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধের বিচার কার্যক্রম সুষ্ঠু ও গতিশীল করতে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ