বদলে গেলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে পরিবর্তিত নাম হচ্ছে ‘যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’। এরইমধ্যে পাল্টে দেয়া হয়েছে পেন্টাগন কার্যালয়ের ‘নেইমপ্লেট’। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদবীতেও আসছে পরিবর্তন। এখন থেকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদবী হবে যুদ্ধমন্ত্রী।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) ওভাল অফিসে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’ করার আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। নাম পরিবর্তনকে স্থায়ী করতে প্রয়োজনীয় আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকে। যার নিজের পদবীও পাল্টে যাবে এখন থেকে। পরিচিতি পাবেন যুদ্ধমন্ত্রী হিসেবে।
এটি মূলত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরও একটি যুগান্তকারী নির্বাহী আদেশ। যা নিশ্চিত করবে, এখন থেকে কেবল প্রতিরক্ষা নয়, সর্বদা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। প্রয়োজনে শত্রুপক্ষকে আক্রমনে কোনো দ্বিধা করবে না।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা অনেক বেশি উপযুক্ত নাম, বিশেষ করে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে।’
নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের আয়োজনে নিজেদের ইতিহাস মনে করিয়ে দেন হোয়াইট হাউস সেক্রেটারি উইল শার্ফ। বলেন, ১৭৮৯ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত আমাদের জাতি কিছু বড় সামরিক বিজয় অর্জন করেছে যুদ্ধ বিষয়ক বিভাগের তত্ত্বাবধানে। আজ এই নির্বাহী আদেশ বলে, বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা বিভাগ আবারও সেই ধারায় ফিরবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা এখন বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র কেবল প্রতিরক্ষা নয়, দেশের স্বার্থে প্রয়োজনে আক্রমণে যেতেও দ্বিধা করবে না। এ কারণে আগের যুদ্ধ মন্ত্রণালয় নামটিই যথাযথ। এটি একইসঙ্গে মন্ত্রণালয়ে কাজ করা কর্মকর্তাদের মানসিকতাতেও বদল আনবে।
উল্লেখ্য, ১৭৮৯ সালে ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার” প্রতিষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, ১৯৪৭ সালে প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান এক আইনের মাধ্যমে এটির নাম পরিবর্তন করে ‘ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স’ রাখা হয়। এতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং নবগঠিত বিমানবাহিনী একত্রিত হয়।