আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উগান্ডার ইতিহাস খুব সমৃদ্ধ না হলেও গত কিছু বছর ধরে তারা নিজের পরিচিতি সৃষ্টি করেছে। ১৯৯৮ সালে আইসিসির সহযোগী সদস্যের স্ট্যাটাস পাওয়ার পর ২০১৯ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে উগান্ডা। সেই ম্যাচে তারা বোতসোয়ানাকে ৫২ রানে পরাজিত করে। এরপর থেকে দ্রুত উন্নতি করতে থাকে তারা।
২০২৩ সালের নভেম্বরে আফ্রিকা অঞ্চলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশ জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে চমক দেখায় তারা। এরপর তাদের বড় অর্জন ছিল ২০২৩ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয়া যেখানে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে তারা জয় লাভ করে। যদিও বড় দলগুলোর বিপক্ষে জয় পাওয়া সম্ভব হয়নি, তবুও বিশ্বকাপে তাদের পারফরম্যান্সে নজর কাড়ে ক্রিকেট বিশ্ব।
বিশ্বকাপের পর নিজেদের আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যায় উগান্ডা। ২০২৪ সালের অক্টোবরে শুরু হয় তাদের অপরাজেয় যাত্রা, এরপর তারা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টানা ১৭টি জয় তুলে গড়ে বিশ্ব রেকর্ড। এই সময়ে তারা বাহরাইন, বোতসোয়ানা, রুয়ান্ডা, নাইজেরিয়া, সিঙ্গাপুর, ইতালি, হংকং, তানজানিয়া, কেনিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে পরাজিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে তারা দুবার হারানোর গৌরব অর্জন করেছে।
এখন পর্যন্ত উগান্ডা ১১৩টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৮৭টি ম্যাচে জয় লাভ করেছে এবং মাত্র ২৩টি ম্যাচে পরাজিত হয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে তারা টানা ১১টি জয়ও পেয়েছিল।
রেকর্ডটি তারা গড়েছে গত ২৫ জুলাই পার্ল অব আফ্রিকা টুর্নামেন্টে যেখানে কেনিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়ে তারা টানা ১৬ তম জয় লাভ করেছে। এতে তারা পিছনে ফেলেছে স্পেনকে, যারা টানা ১৫ জয় পেয়েছিল। এরপর ২৭ জুলাই সংযুক্ত আরব আমিরাতকে পরাজিত করে উগান্ডা তাদের রেকর্ড আরও সমৃদ্ধ করেছে।
তবে এই রেকর্ড ভাঙার সুযোগ এখনও আছে স্পেনের। তারা ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে থেকে টানা ১৫টি জয় পেয়েছে। এর পাশাপাশি, টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান ও ভারতের মধ্যে রয়েছে টানা ১২ জয় করার রেকর্ড।