সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে লক্ষ্য তাড়ায় দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে হঠাৎ ধস নামে টাইগার ব্যাটিং লাইনআপে।
আজ কলম্বোতে লক্ষ্য তাড়ায় উড়ন্ত শুরু পায় শ্রীলঙ্কা। তবে মিডল অর্ডারে ধস নামে। এরপর আর ফিরতে পারেনি লঙ্কানরা।
প্রথম ওয়ানডেতে এগিয়ে থেকে হারার পর এবার পিছিয়ে থেকেও ফেরার গল্প লিখল বাংলাদেশ। ১৬ রানের জয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে বাংলাদেশ।
ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় মেহেদী হাসান মিরাজের দল। দলীয় স্কোর বোর্ডে ২৪৮ রানের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেছেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। আর তাওহিদ হৃদয় ৫১ রান করেন।
মাঝারি মানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই পাথুম নিশাঙ্কাকে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে নিশান মাদুশকাকে সঙ্গে নিয়ে ৪৫ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়েন কুশল মেন্ডিস। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৩১ বলে ৫৬ রান করেন কুশল মেন্ডিস। আর মাদুশকা ২৫ বলে করেন ১৭ রান।
৮২ রানে ৩ উইকেট হারালেও লঙ্কানরা ম্যাচেই ছিল। তবে হঠাৎ তাদের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামান বাংলাদেশি স্পিনাররা। ৬ রান করা আসালঙ্কাকে ফিরিয়ে শুরুটা করেন শামীম হোসেন।
তকামিন্দু মেন্ডিসকে ফেরান তানভীর। আর দুনিথ ভেল্লালেগেকে দ্রুত সাজঘরে ফেরান শামীম। ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ভানিন্দু হাসারাঙ্গাকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন জনাইথ লিয়ানাগে। তবে ১৬ বলে ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি হাসারাঙ্গা। তাকে প্যাভিলিয়েন পাঠান মিরাজ।
মহেশ থিকশানাও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তানভীরের বলে রিশাদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। এই উইকেট নিয়ে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ফাইফার পেয়েছেন এই স্পিনার।
শেষদিকে লিয়ানাগে একাই লড়াই করেছেন। ৮৫ বলে করেছেন ৭৮ রান। তাতে ম্যাচ জমে যায়। ২২৮ রানের মাথায় নবম ব্যাটার হিসেবে তাকে মুস্তাফিজ সাজঘরে পাঠিয়ে দিলে দুঃশ্চিন্তা দূর হয় টাইগারদের। লঙ্কানরা আর ৪ রান যোগ করতেই গুটিয়ে গেলে সাত ওয়ানডে পর জয়ের দেখা পায় টাইগাররা।
বাংলাদেশের হয়ে ৩৯ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেন তানভীর। এছাড়া ২ উইকেট পেয়েছেন তানজিম সাকিব। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদি মিরাজ ও শামীম হোসেন।
১-১ সমতায় থাকা সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী মঙ্গলবার।