বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান একসময় চুপিসারে একটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন-এমন বিস্ফোরক দাবি করেছেন নির্মাতা রাজিবুল হোসেন। তবে সাকিব বিষয়টি অস্বীকার করায় ছবিটি আর মুক্তি পায়নি, এমনকি শুটিংও বন্ধ হয়ে যায়।
নির্মাতার ভাষ্যমতে, এক যুগ আগে ‘সব কিছু পেছন ফেলে’ শিরোনামের একটি সিনেমা নির্মাণ শুরু করেন তিনি। পাঁচ তরুণ-তরুণীর জীবনভিত্তিক গল্পে অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সাকিব। শুটিং হয়েছিল কক্সবাজারে, প্রফেশনাল ক্যামেরা, ক্ল্যাপস্টিক ও রেকর্ডিংসহ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতিতে।
রাজিবুল হোসেন বলেন,“সাকিব আল হাসান শুটিং করেছেন, ক্যামেরার সামনে অভিনয় করেছেন। কিন্তু সংবাদ প্রকাশের পর তিনি সব অস্বীকার করেন। এরপর থেকেই প্রজেক্টটি থেমে যায়।”
তিনি আরও বলেন,“সাকিবের মিথ্যাচার একজন নির্মাতা হিসেবে আমাকে আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। চাইলে তাঁকে বাদ দিয়েই সিনেমাটি শেষ করতে পারতাম, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি-একটি অসম্পূর্ণ সত্য দিয়ে পূর্ণ চলচ্চিত্র বানানো যায় না।”
সিনেমাটির পরিচালক ও প্রযোজক-দুই ভূমিকাতেই ছিলেন রাজিবুল হোসেন। ছবিটি স্পন্সর করেছিল ফুজিফিল্ম বাংলাদেশ। জানা যায়, সাকিব তখন ফুজিফিল্মের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন। সেই সূত্রেই তিনি এই প্রজেক্টে যুক্ত হন।
নির্মাতার ভাষায়,“ফুজিফিল্ম আমাদের জানিয়েছিল, সাকিব বছরে নির্দিষ্ট দিনের জন্য তাদের সময় দেবেন। সেই হিসেবেই তিনি অভিনয়ে অংশ নেন। কিন্তু এক সংবাদমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সাকিব পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে বসেন। ফুজিফিল্মও আর বিষয়টি নিয়ে এগোতে চায়নি।”
সিনেমা অসমাপ্ত রাখার পেছনে নিজের নৈতিক অবস্থানের কথা জানিয়ে নির্মাতা বলেন,“এতে আমার ৬৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে আমি চাইনি ভুয়া দৃশ্য বা বিকৃত বাস্তবতা দিয়ে সিনেমা শেষ করতে।”
এই ঘটনার প্রায় এক যুগ পর কেন বিষয়টি প্রকাশ্যে আনছেন-এমন প্রশ্নের জবাবে রাজিবুল বলেন,“অনেকে বলত, সিনেমাটি আমার পরিচালনায় দুর্বল ছিল বা বাজেটের ঘাটতি ছিল। অথচ আসল কারণ ছিল একজন তারকার অনৈতিক সিদ্ধান্ত। সেই সত্যটা আজ সবাইকে জানাতে চাই।”