এবারের বাজেটকে ব্যবসাবান্ধব মনে করছেন না ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। সোমবার (২ জুন) বিকেলে মতিঝিলে ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে প্রাথমিক বাজেট প্রতিক্রিয়া নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি তাসকিন আহমেদ।
সভাপতি বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে বাজেটে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। ঘাটতি বাজেট মেটাতে গত বছরের থেকে বেশি মাত্রায় ব্যাংক নির্ভর হওয়া একটি নেতিবাচক দিক। বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকিং খাতের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে করজালের আওতা বাড়িয়ে রাজস্বের পরিমাণ বাড়ানো প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, করজাল সম্প্রসারণ এবং অটোমেটেড রিটার্ন ব্যবস্থা চালু আপাতদৃষ্টিতে ইতিবাচক। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা, ভারতের সাথে নন-ট্যারিফ ব্যারিয়ার এবং আইএমএফের শর্ত বাজেট বাস্তবায়নে প্রভাব ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
তাসকিন আহমেদ বলেন, এই বাজেট থেকে ম্যাজিক্যাল কিছু আশা করিনি। তবে কিছু কাঁচামালে কর অব্যাহতি মূল্যস্ফীতি কমাতে সাহায্য করবে। রফতানি কমে গেছে তা বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই।
তিনি আরও বলেন, ব্যক্তিগত আয়কর সরলীকরণ করতে গিয়ে মানুষের ওপর কর বেড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসায়ীরা বড় করের আওতায় পড়বেন, যা এই বাজেটের নেতিবাচক দিক। এছাড়া তুলা, মোবাইল, অটোমোবাইলের মতো পণ্যে কর বৃদ্ধিতে লোকাল উদ্যোক্তাদের নেতিবাচক অবস্থানে ফেলবে।