হংকংয়ে হয়ে গেলো এশিয়া কালচারাল কো-অপারেশন ফোরামের আয়োজন। ‘কানেক্ট, ক্রিয়েট, এনগেজ: ব্রিজিং কালচার্স ফর অল’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত ফোরামের মূল আকর্ষণ ছিল ২২ এপ্রিলের মন্ত্রী পর্যায়ের প্যানেল আলোচনা। এতে অংশ নেন ১৭টি দেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা সাংস্কৃতিক উন্নয়ন নিয়ে মতবিনিময় করেন।
বাংলাদেশের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্যানেলে ‘সংস্কৃতিক জটিলতা নিরসনে সহমর্মিতা ও অন্তর্ভুক্তির’ ওপর বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, জুলাইয়ের গণজাগরণ তরুণ প্রজন্ম, বিশেষত নারীদের নেতৃত্বে নতুন ইতিহাস রচনা করেছে। তিনি জানান, এই পরিবর্তনের ধারায় বাংলাদেশে এবার প্রথমবারের মতো সব জাতিগোষ্ঠী একসঙ্গে নববর্ষ উদযাপন করেছে।
পরে হংকংয়ের সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও পর্যটনমন্ত্রী রোসানা ল-এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ফারুকী বলেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং হংকংয়ের উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নিউ মিডিয়া আর্ট শিক্ষা নিয়ে যৌথ উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া, অ্যাকশন ফিল্ম প্রযোজনায় হংকংয়ের ২৫ শতাংশ কর ছাড়ের সুবিধার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
পাকিস্তানের সংস্কৃতিমন্ত্রী আওরঙ্গজেব খান খিচির সঙ্গে এক বৈঠকে দুই দেশের খ্যাতিমান শিল্পীদের চিত্রকর্ম নিয়ে ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনীর পরিকল্পনা হয়। ফারুকী বীকনহাউস ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মতো প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশি শিল্পীদের জন্য বৃত্তির আহ্বান জানান।
নেপালের সংস্কৃতি মন্ত্রী বদ্রি পান্ডের সঙ্গে বৈঠকে লুম্বিনিতে বাংলাদেশ নির্মিত বৌদ্ধ মন্দির এবং বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আসন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজন নিয়েও আলোচনা হয়।
২০০৩ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা এই ফোরামে এবার ১৭টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেন। হংকংয়ের ভারপ্রাপ্ত চিফ এক্সিকিউটিভ চ্যান কোয়াক-কি প্রতিনিধিদের সম্মানে গালা ডিনারের আয়োজন করেন।