প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথা একটি অস্বস্তিকর এবং যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। অনেকে এটা সাময়িক ভেবে এড়িয়ে যান, কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন—এই উপসর্গটি অবহেলা করলে তা পরবর্তীতে বড় সমস্যায় রূপ নিতে পারে।
চলুন জেনে নিই এর পেছনের কারণগুলো, ঝুঁকি, এবং দ্রুত করণীয়—
প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার সাধারণ কারণগুলো:
১. মূত্রনালির সংক্রমণ (UTI – Urinary Tract Infection): সবচেয়ে সাধারণ কারণ। এতে প্রস্রাবের সঙ্গে জ্বালাপোড়া এবং ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ পায়। এতে প্রস্রাবের গন্ধ বা রঙ পরিবর্তন হয়। বিশেষ করে নারীদের এই ইনফেকশন বেশি হয় শরীরের গঠনগত কারণে।
৩. কোনো যৌনবাহিত রোগ (STD): যেমন গনোরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া ইত্যাদি—এগুলো থেকেও প্রস্রাবে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া হতে পারে।
৪. মূত্রথলিতে পাথর বা বালি: পাথর থাকলে প্রস্রাবের রাস্তায় ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে, যা ব্যথা ও জ্বালা সৃষ্টি করে।
৫. ডায়াবেটিস: নিয়ন্ত্রিত না থাকলে ইউরিনে ইনফেকশন বা ফাঙ্গাল ইনফেকশন হতে পারে।
কখন বুঝবেন বিপদের ইঙ্গিত?
জ্বালার সঙ্গে জ্বর, কোমর ব্যথা, প্রস্রাবে রক্ত বা দুর্গন্ধ, প্রস্রাব একেবারেই বন্ধ বা খুব সামান্য হচ্ছে, গর্ভবতী নারী হলে অতিরিক্ত সতর্কতা জরুরি
এগুলো হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রচুর পানি পান করুন – দিনে অন্তত ৮–১০ গ্লাস
সাবান বা কেমিক্যাল স্প্রে ব্যবহার বন্ধ করুন প্রস্রাবের রাস্তায়
বাথরুম পরিষ্কার রাখুন ও সময়মতো প্রস্রাব করুন
গরম পানিতে বসে বসে গোসল (sitz bath) নিতে পারেন সাময়িক আরামের জন্য
সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক বা ইউরিন ইনফেকশন টেস্ট লাগতে পারে ডাক্তার দেখালে
যা করবেন না
নিজে থেকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করবেন না
ঘন ঘন প্রস্রাব আটকে রাখা এড়িয়ে চলুন
সমস্যা লুকিয়ে রাখা ঠিক নয়—বিশেষ করে বারবার হলে
প্রস্রাবে জ্বালা কোনো সাধারণ বিষয় হলেও, অবহেলা করলে তা কিডনি ক্ষতি বা বড় সংক্রমণে রূপ নিতে পারে। তাই প্রাথমিক লক্ষণ দেখা মাত্র সচেতনতা ও চিকিৎসা—এই দুই-ই জরুরি।