spot_img

অহেতুক অনুমান ক্ষতিকর

অবশ্যই পরুন

মানুষকে অহেতুক সন্দেহ করা, সবকিছুতে ঝামেলা খোঁজা ও মানুষকে দোষারোপ করা নিন্দনীয় কাজ। এতে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, পরস্পর সৌহার্দ্য নষ্ট হয়, মান-সম্মান হানি হয়। মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের অহেতুক সন্দেহ করে বারণ করেছেন। পবিত্র কোরআনে তিনি বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোনো কোনো অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা কবূলকারী, অসীম দয়ালু।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ১২)

কোনো কারণ ছাড়া অহেতুক সন্দেহ থেকে বহু মিথ্যা ধারনার সৃষ্টি হয়, এই উদ্ভট ধারণাগুলো এক সময় অন্তরকে মিথ্যা বিশ্বাস দ্বারা আবৃত করে রাখে। ফলে সন্দেহকারী সত্য থেকে দূরে থাকে। নিছক মিথ্যা ধারণাকে পরম সত্য ভেবে অন্যের ও নিজের ক্ষতি করে বসে। যা বড় ধরনের শত্রুতায় রূপ নেয়। এ জন্য নবীজি (সা.)-ও তাঁর উম্মতদের অহেতুক ধারনা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) হতে বর্ণিত। তোমরা কারো প্রতি খারাপ ধারনা পোষণ করো না। কেননা, খারাপ ধারনা সবচেয়ে বড় মিথ্যা। একে অপরের দোষ-ত্রুটি খুঁজিও না, একে অন্যের ব্যাপারে মন্দ কথায় কান দিও না এবং একে অপরের প্রতি শত্রুতা পোষণ করো না; বরং ভাই ভাই হয়ে যাও।’ (বুখারি, হাদিস : ৫১৪৩)

অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মন্দ ধারণা পোষণ করা হতে তোমরা দূরে থাক। কেননা, মন্দ ধারণা হলো সবচেয়ে বড় মিথ্যা কথা।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৮৮)

তা ছাড়া অধিক পরিমাণে অহেতুক ধারনা থেকে এক সময় মানসিক রোগের সৃষ্টি হয়। যা মানুষকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতেও ফেলে দেয়। তাই আমাদের সবার দায়িত্ব হলো, অহেতুক অনুমান, মন্দ ধারনা থেকে বিরত থাকা। যেগুলো নিরবে আমাদের ঈমান-আমলকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। মহান আল্লাহ সবাইকে তাওফিক দান করুন।

সর্বশেষ সংবাদ

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা

বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে কমিশনকে অবশ্যই সফল হতে হবে। এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ