আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জিওফ অ্যালারডাইস পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ২০১২ সালে আইসিসিতে যোগ দেওয়া এই অস্ট্রেলিয়ান প্রশাসক ২০২১ সালে সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেন।
পদত্যাগের কারণ হিসেবে অ্যালারডাইস নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণের কথা উল্লেখ করেছেন। আইসিসির বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আইসিসির সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আমার জন্য সম্মানের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্প্রসারণ থেকে শুরু করে বাণিজ্যিক ভিত্তি স্থাপনের যে অর্জনগুলো হয়েছে, তাতে আমি গর্বিত। গত ১৩ বছরে সমর্থনের জন্য আইসিসি চেয়ারম্যান, পরিচালনা পর্ষদ এবং পুরো ক্রিকেট সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ জানাই। আমি মনে করি, নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণের এটাই উপযুক্ত সময়। ভবিষ্যতে আইসিসি ও ক্রিকেটের আরও সাফল্য কামনা করছি।”
অ্যালারডাইসের অবদানের প্রশংসা করে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ বলেছেন, “ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে অ্যালারডাইসের নেতৃত্ব ও অবদানের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। তাঁর কাজ বিশ্ব ক্রিকেটকে আরও উন্নত করেছে। ভবিষ্যতের জন্য তাঁকে শুভকামনা জানাই।”
অ্যালারডাইসের উত্তরসূরি খোঁজার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু করেছে আইসিসি।
তবে পদত্যাগের আনুষ্ঠানিক কারণ উল্লেখ করা না হলেও ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানিয়েছে, দায়িত্ব পালনে কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে হয়তো তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। বিশেষত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সূচি ও ভেন্যু চূড়ান্ত করতে দীর্ঘ বিলম্ব এবং ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের বিশৃঙ্খলা তাঁর পদত্যাগের পেছনে ভূমিকা রাখতে পারে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সূচি নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব নিরসনে ব্যর্থতা এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) অভিযোগ বিষয়টি আরও জটিল করে তোলে। একই সঙ্গে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় নিয়ে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের প্রশ্ন ছিল। এর জেরে আইসিসির বিপণন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ক্লেয়ার ফারলং এবং ভেন্যু পরিদর্শক দলের প্রধান ক্রিস টেটলিও আগে পদত্যাগ করেছিলেন। এবার তাঁদের পথেই হাঁটলেন জিওফ অ্যালারডাইস।
বিশ্ব ক্রিকেটে অ্যালারডাইসের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক বিতর্ক তাঁর দায়িত্বকালকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। পদত্যাগের পর আইসিসির সামনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।