spot_img

মিশর পৌঁছেছেন মুক্তিপ্রাপ্ত ৭০ ফিলিস্তিনি বন্দি

অবশ্যই পরুন

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ৭০ ফিলিস্তিনি বন্দি মিশর পৌঁছেছে। বন্দি বিনিময়ে মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত এরা। ইসরায়েল বলেছিল, এদেরকে মিশরের মাধ্যমে কাতার এবং তুরস্কসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে নির্বাসিত করা হবে। তার অংশ হিসেবে ওই ৭০ ফিলিস্তিনিকে মিশরে নেয়া হয়েছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) মিশরের আল-কাহেরা নিউজ বলেছে, এসব বন্দিরা ইসরায়েল দ্বারা “নির্বাসিত” ছিল। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে।

এর আগে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে ইসরায়েলি চার নারী সেনাকে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এদের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে গাজায় জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। পরে ওই চারজনের বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ২০০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় নেতানিয়াহুর দেশ।

মুক্তি পাওয়া ২০০ জনের মধ্যে ১২১ জন ইসরায়েলের কারাগারে যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছিলেন। এদের মধ্যে কয়েকজনকে ইসরায়েলি আদালত একাধিক খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে। মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৯৮৬ সাল থেকে দীর্ঘ ৩৯ বছর ধরে কারাগারে থাকা ব্যক্তিও আছেন।

বিবিসি জানায়, শনিবার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রায় অর্ধেক বন্দিকে পশ্চিম তীরে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে দেয়া হবে। তবে সবচেয়ে গুরুতর অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত ৭০ জনকে মিশরের মাধ্যমে কাতার এবং তুরস্কসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে নির্বাসন করা হবে। আর অল্প সংখ্যক বন্দিকে গাজায় পাঠানো হবে।

শনিবার সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, ধূসর রঙের ট্র্যাকস্যুট পরা কয়েকজন বন্দী গাজার সাথে রাফাহ সীমান্তের মিশরীয় পাশ দিয়ে দুটি বাস থেকে নামছে। ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিষয়ক কমিটির প্রধান আমিন শুমান এএফপিকে বলেছেন, মিশরে ট্রানজিট করার পর, নির্বাসিত বন্দীরা বসবাসের জন্য “আলজেরিয়া, তুরস্ক বা তিউনিসিয়া বেছে নেবে”।

মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন আল-কাহেরা নিউজকে বলেছেন, “এটি একটি অবর্ণনীয় অনুভূতি”। মুক্তিপ্রাপ্তদের এ সময় বাসের মধ্যে হাসতে দেখা যায় এবং তারা হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।

প্রসঙ্গত, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের প্রকাশ করা একটি তালিকা অনুসারে, চুক্তির অধীনে এমন ২৩০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়া হবে, যারা ইসরায়েলিদের ওপর বিভিন্ন সময় মারাত্মক আক্রমণের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। তাদের মুক্তির পরে ফিলিস্তিনি অঞ্চল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

১ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্য নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান জারি রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রশাসনসূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ১ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে নিজ নিজ...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ