সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে মুক্তি পেল কঙ্গনা রনৌত অভিনীত ছবি ইমারজেন্সি। কিন্তু মুক্তি পাওয়ার পরও যেন জটিলতা পিছু ছাড়ল না এই ছবির। পাঞ্জাবের একাধিক জায়গায় মুক্তি পায়নি এই ছবিটি। বরং শিখ গোষ্ঠী বিরোধিতা করেছে এই ছবির।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ইমারজেন্সি ছবিটি মুক্তি পাওয়া মাত্রই পঞ্জাবের একাধিক সিনেমা হলের বাইরে বিক্ষোভ দেখা গেছে। ফলে রাজ্যের একাধিক জায়গায় মুক্তি পায়নি ছবিটি। এখানে মুখ্য ভূমিকায় (ইন্দিরা গান্ধীর) চরিত্রে দেখা গেছে কঙ্গনা রনৌতকে।
‘ইমার্জেন্সি’ ছবিটি পরিচালনা, চিত্রনাট্য ও প্রযোজনা করেছেন অভিনেত্রী নিজেই। ছবিটিতে উঠে এসেছে ভারতের ২১ মাস ব্যাপী জরুরি অবস্থার কথা যা ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত চলেছিল।
জানা যায়, ইমারজেন্সি ছবিটির সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেতেও বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। বিতর্ক উসকেছে নানা সময়। দাবি করা হচ্ছে শিখদের ব্যাপারে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে এই ছবিতে। কিন্তু সেসব বিতর্ককে উপেক্ষা করে একাধিকবার ছবির মুক্তির দিনক্ষণ পিছিয়ে দেওয়ার পর অবশেষে ১৭ জানুয়ারি মুক্তি পেল ছবিটি।
এদিন অমৃতসরে বিক্ষোভকারীদের কালো পতাকা, প্লাকার্ড হাতে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। তাঁদের দাবি, এই ছবিটিকে নিষিদ্ধ করা উচিত। প্লাকার্ডে লেখা ‘বয়কট ইমারজেন্সি ছবি।’
প্রতাপ সিং পিটিআইকে জানিয়েছেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি। পঞ্জাবের সরকারের সঙ্গেও কথা বলেছি যাতে এই ছবির মুক্তিকে আটকানো যায়। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’ তাঁদের মতে এই ছবিটি পঞ্জাবের শান্তি বিঘ্নিত করবে। ইমারজেন্সি ছবিতে শিখদের চরিত্রকে খারাপ ভাবে দেখানো হয়েছে বলে তারা দাবি করে।
তিনি আরও জানান, ‘কঙ্গনা রনৌত বিজেপির একজন এমপি। আর একজন এমপি হিসেবে সংসদের দায়িত্ব অনেকটাই। তাঁদের উচিত সমাজের সবাইকে একসঙ্গে আনা, একত্রিত করা। কিন্তু সেটার বদলে উনি বিভাজন করছেন।’
কেবল অমৃতসর না, মোহালিতেও একই দৃশ্য ধরা পড়েছে। প্রবন্ধক কমিটির আরেক সদস্য রাজেন্দ্র সিং তোহরা বলেন, ‘এই ছবিটি বানানো হয়েছে শিখ গোষ্ঠীকে অপমানিত করার জন্যই। আমরা মোহালি বা পঞ্জাবের অন্য কোথাও এই ছবিটিকে মুক্তি পেতে দেব না।’
উল্লেখ্য, অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত ‘ইমার্জেন্সি’ ছবি নিয়ে বেশ কিছু আপত্তি জানিয়েছিল শিরোমণি অকালি দল। যার ফলে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেতে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয় তাকে। ছবিটি থেকে বেশ কিছু দৃশ্য বাদও দিতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। সব মিলিয়ে প্রথম পরিচালনা করতে গিয়ে ভালোই বেগ পেতে হয়েছে কঙ্গনাকে। তাই আগামী দিনে আর রাজনৈতিক কোনো ছবি নির্মাণ করবেন না বলে জানিয়েছে অভিনেত্রী।