মায়োর্কার খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্যরা সৌদি আরবে খেলা দেখতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন। জানা গেছে, মায়োর্কার দুই খেলোয়াড়ের স্ত্রীরা এই বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন। তারা জানান, সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত স্প্যানিশ সুপার কাপ ম্যাচের পর স্থানীয় সমর্থকদের দ্বারা তারা উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন।
মায়োর্কার মিডফিল্ডার দানি রদ্রিগেজের ক্রিস্টিনা পালভরা স্প্যানিশ এক টেলিভিশনকে জানিয়েছেন, স্টেডিয়াম ছাড়ার সময় তিনি এবং গোলকিপার ডমিনিক গ্রেইফের স্ত্রী পুরুষদের একটি দল দ্বারা হয়রানির শিকার হয়েছেন। পালাভরা এসপোর্টস আইবি৩-কে জানান, ‘স্টেডিয়াম থেকে বের হওয়াটা বেশ জটিল ছিলো।
আমরা আমাদের সন্তানদের সাথে বের হচ্ছিলাম এবং আমাদের কোনো নিরাপত্তা ছিলো না। সত্যি বলতে, দেশটির কিছু পুরুষ আমাদের কাছে থেকে ছবি তুলতে শুরু করে এবং তখন আমাদের হয়রানিও করছিলো’
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘একই ঘটনার শিকার হয়েছেন ডমিনিক গ্রেইফের স্ত্রী নাতালিও। আমার মেয়ে তখন ঘুমাচ্ছিলো। আমরা খুব বেশি অস্বস্তি অনুভব করছিলাম। আমাদের কোনো সুরক্ষা ছিলো না। বের হওয়াটা খুব খারাপ ছিলো।’
গ্রেইফের স্ত্রী নাতালিয়া স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কাকে বলেছেন, পুরুষরা ‘আমাদের ভিডিও করছিল এবং ধাক্কা দিচ্ছিল, ফোন আমাদের মুখে ঠেকিয়ে ভিডিও করছিলো।’ মায়োর্কা ক্লাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘প্রায় ২৫০ জন মানুষ স্টেডিয়াম থেকে বের হওয়ার সময় হয়রানির শিকার হয়েছেন।’
মার্কা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যায় রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি পরিহিত কয়েকজন পুরুষ মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও করে এবং হাসতে হাসতে মায়োর্কার সমর্থকদের একটি দলকে বাসে ওঠার পথে অনুসরণ করছে।
মায়োর্কার অফিশিয়াল আলফনসো দিয়াজ এসপোর্টস আইবি৩ টিভিকে বলেছেন, নারীদের ‘অযাচিতভাবে স্পর্শ করা হয়েছে’ যেটা ‘পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য।’ তিনি এই ঘটনা স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনকে জানিয়েছেন। ‘এটা যেন আর না ঘটে’ আয়োজকেরা তা নিশ্চিত করবেন বলে মনে করেন দিয়াজ।
এদিকে এই ঘটনার পর সৌদির নিরাপত্তা কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিয়েছে বলে বার্তাসংস্থা এপি-কে জানিয়েছে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন।