ইরান ও ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞায় বেশ কয়েকজন ব্যক্তি, কোম্পানি এবং জাহাজের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। খবর রয়টার্স
ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, ইরানের পেট্রোলিয়াম এবং পেট্রোকেমিক্যালের বাণিজ্যের সাথে জড়িত তিনটি জাহাজের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এসব পণ্যের মাধ্যমে ইরানের নেতারা বিলিয়ন ডলার আয় করেন। এছাড়া তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে সমর্থন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিকাশ এবং হিজবুল্লাহ, হামাস ও হুতিদেরসহ প্রক্সিদের অর্থায়ন করে।
যুক্তরাষ্ট্রের টেরোরিজম এন্ড ফিন্যান্সসিয়াল ইনটেলিজেন্স বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি ব্র্যাডলি স্মিথ এক বিবৃতিতে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মূলত ইরানের রাজস্ব আয় করা গুরুত্বপূর্ণ খাতকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। কারণ এসব অর্থের মাধ্যমে তেহেরান অস্থিতিশীল কার্যকলাপ পরিচালনা করে।
স্মিত আরও বলেন, ইরান একটি ছায়া নেটওয়ার্ক হিসেবে কাজ করছে। আর এই ছায়া নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জাহাজ ও কোম্পাটি পরিচালিত হচ্ছে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরান ও হুতিদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যক্তি ও সংস্থা যদি তাদের সাথে লেনদেন করে, তাহলে তাদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানা আরোপ করা হবে।
ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, তারা ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ক্রয় ও অর্থায়ন প্রকল্পগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ১২ জন ব্যক্তির ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধ অস্ত্র প্রাচার, অর্থ পাচার এবং জাহাজে করে ইরানি তেল সংগ্রহের অভিযোগ রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা আরোপকারীদের মধ্যে হুতি নিয়ন্ত্রিত সানার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান হাশেম ইসমাইল আলী আহমেদ আল মাদানি রয়েছেন।