সারাদেশে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। এতে ব্যাহত হচ্ছে জীবনযাত্রা। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকালে কুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারপাশ। সাথে বইছে হিমেল হাওয়া। বেলা গড়ালেও কমছে না ঠাণ্ডা। এতে বেশ বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া আর ছিন্নমূল মানুষ। সঙ্গে বাড়ছে শীতজনিত রোগবালাই।
এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গার পাশাপাশি, পঞ্চগড় ও রাজশাহী জেলায় অব্যাহত আছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
চুয়াডাঙ্গার শহরের চা দোকানী মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিদিন ভোরে দোকান খুলতে হয়। ভোরের দিকেই শীত বেশি। সূর্য উঠছে, কিন্তু ঠান্ডা বাতাসও আছে। তাই আরও শীত অনুভূত হচ্ছে।
অন্যদিকে, কুমিল্লায় সূর্যের দেখা নেই দুইদিন ধরে। ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। তে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, খেটে খাওয়া এবং ছিন্নমূল শ্রেণির মানুষ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে শীতের তীব্রতা বেশি থাকতে পারে। বায়ু দূষণের কারণে এ বছর অগ্রিম এসেছে কুয়াশা। একই কারণে স্থায়ীও হচ্ছে বেশিক্ষণ। কুয়াশার আধিক্যের কারণেই শীতের অনুভূতিও হচ্ছে বেশি। এ ছাড়াও আগামী ১৫-১৬ ডিসেম্বর প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে তাপমাত্রা। এরপর কিছুটা বাড়তে পারে। তবে ২০ তারিখের পর আবারও নামতে শুরু করবে পারদ।