ফিফা ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে সৌদি আরবের নাম নিশ্চিত করার দুই দিন আগে জাতিসঙ্ঘের শীর্ষ মানবাধিকার কর্মকর্তা সোমবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, টুর্নামেন্টকে ঘিরে অভিবাসী শ্রমের মানকে যাতে যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয় তা তিনি নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন।
এবারের বিশ্বকাপ আয়োজনে সৌদি আরব একমাত্র প্রার্থী এবং বুধবার তা নিশ্চিত করা হবে। এদিন ফিফা তার ২১১টি সদস্য ফেডারেশনের একটি অনলাইন সভায় ‘আইটেমাইজড’ ভোট ছাড়াই ২০৩৪-এর বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচনের আহ্বান জানাবে।
তেল সমৃদ্ধ সৌদি আরবের বিশ্বকাপ পরিকল্পনায় প্রতিশ্রুত ১৫টি স্টেডিয়ামের মধ্যে আটটি একদম শুরু থেকে তৈরি করতে হবে। এর সাথে এক লাখ ৭৫ হাজার হোটেল কক্ষ তৈরি করতে হবে। এই কাজ অভিবাসী শ্রমিকদের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করবে যাদের দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে আনা হয়।
এক্টিভিস্ট গ্রুপগুলো বলছে, বিদ্যমান শ্রম কাঠামোর মধ্যে অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা দেয়া যায় না।
সোমবার জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই-কমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, তার সংস্থা বিশ্বকাপ ইস্যুতে ফিফার সাথে সরাসরি জড়িত নয়।
ফিফার সমালোচকরা বলছেন, ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপের জন্য এক দশকের একই ধরনের প্রস্তুতির সময় যে মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখা গিয়েছিল সৌদিতে বিশ্বকাপে তার পুনরাবৃত্তি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
ট্রেড ইউনিয়নগুলোর আনুষ্ঠানিক অভিযোগের পর জাতিসঙ্ঘ সমর্থিত আন্তর্জাতিক শ্রম ও সংস্থা আইএলও-র তদন্তের অংশ হিসেবে সৌদি আরবে ব্যাপক শ্রম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দুই সিনেটর মানবাধিকারের উদ্ধৃতি দিয়ে ফিফার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, পুরুষদের ইভেন্টের জন্য যাতে ভিন্ন আয়োজক খুঁজে বের করা হয়।
ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সাথে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করা সত্ত্বেও সৌদি আরবের সাথে বিশ্বকাপের সিদ্ধান্তের আগে দর কষাকষির ক্ষেত্রে তার সুবিধা ব্যবহার না করার জন্য ফিফার প্রেসিডেন্ট সমালোচিত হয়েছেন।
সৌদি কর্মকর্তারা আইএলও এবং দেশীয় সংস্থাগুলোর সাথে জড়িত থাকার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তবে তা আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় যাদের কিনা সৌদি আরবে কাজ করার সীমিত অথবা কোনো অ্যাক্সেস নেই।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা