৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে পঞ্চগড়ের ইজিবাইক চালক আল আমিনকে গুম করে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার সাবেক রেল মন্ত্রী নুরুল ইসলামের সুজনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত। রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে তাকে পঞ্চগড়ের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে জামিন প্রার্থণা করলে আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন।
মামলার শুনানীতে বাদী পক্ষের আইনজীবী পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আদম সুফি সহ আদালতের এপিপিবৃন্দ এবং আসামি পক্ষের সাবেক পিপি এ্যাড. আমিনুল ইসলাম, এ্যাড. মির্জা সারোয়ার হোসেন, এ্যাড. আলী আসমান বিপুল অংশগ্রহণ করেন। মামলার শুনানীর সময় বাদী নিজে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে সাবেক এই রেলমন্ত্রীকে ঢাকা কাশিমপুর কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় পঞ্চগড় আদালতে নিয়ে আসা হয়। আজ রোববার ( ১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে পুলিশ, ডিবি ও সেনাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে তাকে হাজির করা হয়।
মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী মির্জা সারোয়ার হোসেন বলেন, সাবেক এই রেলমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গুম ও খুনের অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে। মামলার এজহারে বলা হয়েছে বাদীর ছেলেকে নাকি সাবেক এই মন্ত্রীর হুকুমে মারধর করা হয়েছে। পরে তাকে নাকি আর পাওয়া যাচ্ছেনা। আমরা আদালতে বলেছি যেহেতু ভিকটিমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা সেহেতু কোনভাবেই ৩০২ ধারা হতে পারে না। আমরা জামিন আবেদন করেছিলাম। আদালত না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেছেন। তবে আদালত তাকে জেলকোর্ট অনুযায়ী ডিভিশন দিয়েছেন।
মামলার বাদী পক্ষে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি আদম সুফী বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনে দেশে শান্তি ফিরে এসেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সম্মুখ সারির যোদ্ধাকে গুম করে হত্যা করা হয়েছে। সাবেক এই রেলমন্ত্রীর নির্দেশে মামলার অন্য আসামিরা আল আমিনকে হত্যা করেন। আমরা জামিনের বিরোধিতা করেছি। একই সাথে আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করেছি।
এর আগে, গত ১০ নভেম্বর পঞ্চগড় সদর থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন গুম ও হত্যার শিকার ইজিবাইক আল আমিনের বাবা মনু মিয়া। মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রীকে প্রধান আসামী করে ১৯ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।