দুঃসময়ের বেড়াজালে যেন আটকা পড়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। টানা চারবারের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা যেন নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে৷ গত দেড় যুগে যা হয়নি, তাই হলো এবার; ২০০৬ সালের টানা পাঁচ ম্যাচে হারলো ম্যানসিটি।
ম্যানসিটির সর্বশেষ হার গতকাল (শনিবার) রাতে। হার নয়, বোধহয় বিধ্বস্ত হয়েছে বললেই ভালো হবে। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে শনিবার প্রিমিয়ার লিগে টটেনহ্যামের কাছে ৪-০ গোলে হেরেছে স্বাগতিকেরা।
ইতিহাদে সিটির এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে পরাজয়। ঘরের মাঠে এর আগে তারা চার বা তার চেয়ে বেশি গোলে (৫-১) হেরেছিল ২০০৩ সালে, আর্সেনালের বিপক্ষে; তবে সেটাও ছিল অন্য একটা মাঠে।
সিটির এমন ছন্দপতন শুরু হয় গত ৩০ অক্টোবর; এই টটেনহ্যামের বিপক্ষেই হেরে লিগ কাপ থেকে বিদায় নেয় পেপ গুয়ার্দিওলার দল। এরপর প্রিমিয়ার লিগে টানা দুই ম্যাচে বোর্নমাউথ ও ব্রাইটনের বিপক্ষে হেরে বসে তারা।
মাঝে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষেও হারের স্বাদ পায় ম্যানসিটি। তবে সেই হারগুলো ছিলো প্রতিপক্ষের মাঠে। এবার সেই তিক্ত স্বাদ জুটল ঘরের মাঠেই। তাতে ভাঙল ইতিহাদের টানা ৫২ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড।
ম্যানসিটি এর আগে নিজেদের আঙিনায় সবশেষ হেরেছিল ২০২২ সালের ১২ নভেম্বর, ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে। আর ইংলিশ ফুটবলের শেষ ৬৮ বছরের ইতিহাসে শিরোপাধারী প্রথম ক্লাব হিসেবে টানা পাঁচ ম্যাচে হার দেখলো সিটি।
শনিবার টটেনহামের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান জেমস ম্যাডিসনের। জোড়া গোল করেছেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। প্রথম গোল আসে ১৩ মিনিটেই, দেইয়ান কুলুসেভস্কির ক্রসে জাল খুঁজে নেন তিনি।
সাত মিনিট পর দ্বিতীয় গোল হজম করে বসে সিটি। এই গোলও আসে ম্যাডিসনের পা থেকে। সন হিউং-মিনের সাথে বল আদান-প্রদান করে দ্বিতীয়বার জাল খুঁজে নেন তিনি। ২০ মিনিটেই জোড়া গোলে এগিয়ে যায় টটেনহ্যাম।
প্রথমার্ধে আর গোল আসেনি। ম্যানসিটিও তেমন সুযোগ তৈরী করতে পারেনি। উল্টো ৫২ মিনিটে প্রতি-আক্রমণে দোমিনিক সোলাঙ্কির পাস ধরে বক্সের ডান দিক থেকে কোনাকুনি শটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন পেদ্রো পোরো।
যোগ করা সময়ের শেষ দিকে ব্রেনান জনসনের গোলে সিটির পরাজয়ের ব্যবধান আরও বড় হয়। টিমো ভার্নারের বানানো বলে পা ছুঁয়ে জালে ঢোকান তিনি। স্কোর দাঁড়ায় ৪-০। সিটি মাঝে কিছু বিক্ষিপ্ত চেষ্টা করলেও কাজে আসেনি।