প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে চুরি ও অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে করা মামলায় জামিন শুনানি শেষ হয়েছে। নথিপত্র পর্যালোচনার জন্য রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালত। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আদেশ দেয়া হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লার আদালতে ভার্চুয়ালি জামিন শুনানি শুরু হয়। ২টার দিকে শুনানি শেষ হয়।
রোজিনা ইসলামের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালত যত শিগগির সম্ভব আদেশ দেবেন বলেছেন। দুএকদিনের মধ্যেই আদেশ হতে পারে। আদালত সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি।
আদালতে শুনানি শুরু করেন রোজিনার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার এবং এহসানুল হক সমাজীসহ আরও অনেকে।
তিনি বলেন, আদালত যত শিগগির সম্ভব আদেশ দেবেন বলেছেন। দুই-একদিনের মধ্যেই আদেশ হতে পারে। আদালত সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি।
এর আগে গত মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম রিমান্ড নামঞ্জুর করে জামিন শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।
রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ও দণ্ডবিধিতে করা এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে (ডিবি) দেয়া হয়েছে। ডিবির রমনা বিভাগ জানিয়েছে, তারা তদন্তভার পেয়েছে। নথি তারা শাহবাগ থানা থেকে বুঝে নেবে। গ্রেপ্তারের পর রোজিনাকে গাজীপুরের কাশিমপুরে হাই সিকিউরিটি কারাগারে নেয়া হয়।
রোজিনা ইসলামের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী তার মক্কেল ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা করছেন।
গত সোমবার দুপুরের পর পেশাগত দায়িত্ব পালনে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান রোজিনা ইসলাম। এরপর গোপন নথি চুরির অভিযোগে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাকে একটি কক্ষে ৫ ঘণ্টা আটকে রাখেন। রাত ৯টার দিকে রোজিনাকে শাহবাগ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। মামলার বাদী হন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী।
পরদিন সকালে রোজিনাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় তার রিমান্ডের আবেদন জানালেও আদালত তা নামঞ্জুর করে রোজিনাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।