‘গুরুত্বপূর্ণ’ নথিপত্র নেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে ঢাকা সিএমএম আদালতে নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় তাকে শাহবাগ থানা থেকে আদালতে নেওয়া হয়। তার আগে সোমবার বিকেলে তাকে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখার পর রাতে থানায় মামলা করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
ডিএমপির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ উসমানী প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। দণ্ডবিধি ৩৭৯, ৪১১ ধারায় ও অফিসিয়ালস সিক্রেসি অ্যাক্ট ৩ ও ৫ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার একান্ত সচিব (পিএস) মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞার কক্ষ থেকে সোমবার (১৭ মে) বিকেল ৩টার দিকে রোজিনা ইসলামকে আটক করে রাত ৯টার দিকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দাবি, ‘গুরুত্বপূর্ণ’ নথিপত্রের ছবি তোলা ও সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের দাবি, তিনি কোনো নথিপত্র নেননি কিংবা নথিপত্রের ছবি তোলেননি। সচিবের সঙ্গে দেখা করতে গেলে সচিবের পিএস তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে পুলিশ ডাকে।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের সহকর্মী ও সচিবালয় বিটে কর্মরত একাধিক সাংবাদিক জানান, পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাড়ে তিনটার দিকে রোজিনা ইসলাম সচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তার পিএসের কক্ষে যান। এরপর সচিবের পিএস সাইফুল একজন পুলিশ সদস্য ও স্টাফদের দিয়ে তাকে হেনস্তা করে আটকে রাখেন। এসময় তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। এসময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আটকে রাখার খবর ছড়িয়ে পড়লে সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিক এবং ডিআরইউ, ডিইউজে ও প্রেসক্লাব নেতারা সেখানে গিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের সঙ্গে কয়েক দফা সাক্ষাতের চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাত করেননি