ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপ-প্রধান সালেহ আল আরোয়ি বলেছেন, এ পর্যন্ত ব্যবহৃত সব ক্ষেপণাস্ত্র ছিল পুরনো, মূল ক্ষেপণাস্ত্র এখনও ব্যবহার করিনি আমরা।
আল-আকসা টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেছেন, আমাদের কয়েক জন কমান্ডারের মৃত্যুর কারণে প্রতিরোধ সংগ্রাম দুর্বল হয়ে পড়বে এটা ভাবা ঠিক হবে না। শত্রুদের এমন ভাবনা মারাত্মক ভুল। বাস্তবে প্রতিরোধ সংগ্রাম প্রতিদিনই আরও শক্তিশালী হবে।
তিনি বলেন, প্রতিরোধ সংগ্রামীরা মাসের পর মাস শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা রাখে।
এদিকে, দখলদার ইসরাইলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের পর এবার ‘রামুন’ বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হামাস।
হামাসের সামরিক শাখা ইয্যাদ্দিন কাস্সাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা বলেছেন, আজ (বৃহস্পতিবার) ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের রামুন বিমানবন্দরে মধ্য পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ‘আইয়াশ’ এর সাহায্যে হামলা চালানো হয়েছে। গাজা থেকে বিমানবন্দরটির দূরত্ব ২২০ কিলোমিটার, সেখানে ২৫০ কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে আঘাত হানা হয়েছে।
ফিলিস্তিনিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয় ইসরাইল। এরপর রামুন বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছিল।
আবু ওবায়দা বিশ্বের সব বিমান সংস্থাকে ইসরাইলে সব ধরণের ফ্লাইট পরিচালনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।