কয়েকদিন ধরেই সারাবিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বিল গেটস-মেলিন্ডার বিবাহ বিচ্ছেদ। এ নিয়ে যারা ভাবছেন- বিল গেটস্ ও মেলিন্ডা বিশ্বের সেরা ধনী দম্পতি বলেই এমন আলোচনা; তাদের যেমন দোষের কিছু নেই, তেমনই যারা ভাবছেন এ নিয়ে আলোচনার কী আছে; তাদেরও দোষের কিছু নেই।
যেমনটি এর আগে, বিশ্বের রুপালী পর্দার অন্যতম সেরা জুটি ‘অ্যাঞ্জেলিনা জোলি-ব্র্যাড পিট’-এর আলাদা হওয়া বা বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে; কারো কিছু হয়নি। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি-ব্র্যাড পিটের সেই আলাদা হওয়া নিয়ে যেমন অনেক জল ঘোলা করেছি আমরা তেমনই হৃত্বিক রোশান-সুজানার বিচ্ছেদও আলোচনা হয়েছে-বিস্তর। আর, হয়তো এইসব কিছু মাথায় নিয়েই বিল গেটস-মেলিন্ডার বিচ্ছেদের এই আলোচনার মধ্যে সুখী দাম্পত্যের টিপস দিলেন বলিউডের অন্যতমসেরা জুটি অজয় দেবগন-কাজল। জানালেন কীভাবে দাম্পত্য টিকিয়ে রেখেছেন তারা এবং কিভাবে টিকিয়ে রাখতে হয়; সেসব কথাও…
ভিন্নতাই শ্রেয়
স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার অন্যতম কারণ অমত। প্রায়ই একে অন্যকে বলে থাকেন, ‘তুমি আমার টাইপ নও’। কিন্তু একই টাইপ হতে হবে কেন? অজয়-কাজল বললেন, ‘দুজনের ভিন্নতাই হতে পারে মিলনের প্রধান বন্ধন। ভেবে দেখুন, দুজন সব কিছুতে হুবহু একই কাজ করে যাচ্ছেন, একই কথা বলছেন। কী ভয়াবহ একঘেয়েমি চলে আসবে তাতে!’ পর্দার মতো বাস্তবেও জনপ্রিয় এই জুটি জানান, তারা দুজনে দুজনের যাবতীয় ভিন্নতাকে শ্রদ্ধা করেন সবার আগে।
বন্ধুমহল আলাদা
অজয়-কাজলের বন্ধুমহলে কমন অনেকে থাকলেও বেশিরভাগই আলাদা। কেউ কারও জগতে নাক গলান না। কারণ একটাই, আস্থা রাখেন একে অন্যের প্রতি। দুজনই জানেন, তার জীবনসঙ্গী অবাঞ্ছিত কাউকে বন্ধুমহলে জায়গা দেবে না নিশ্চয়ই। সেজন্য এ নিয়ে কখনো কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না।
নিজের মতো চলো
কাজল বেশ সামাজিকতা রক্ষা করে চলেন। অন্যদিকে অজয় অনেকটাই ঘরকুনো। কিন্তু তাতে কেউ কাউকে দোষ দেন না। দুজনই নিজেদের লাইফস্টাইলকে প্রাধান্য দেন। এতে করে তাদের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে।
সাধারণ জীবন
তারকা তো দুজনই। এখন ঘরেও যদি তারকাসুলভ আচরণ করেন, তাহলে কি আর মানায়? অজয়-কাজল দম্পতি তাই ঘরকন্নার কাজে বেছে নিয়েছেন অতি সাধারণ জীবন। যেকোনো অনুষ্ঠানে ঘটা করে কিছু করার বালাই নেই। তাতে কেউ কারোর ওপর মন খারাপ করার সুযোগও পান না। পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গেও তাই বোঝাপড়াটা ভালো।
একসঙ্গে চলা
এতো এতো ভিন্নতার কথা হলো, তো স্বামী-স্ত্রী হিসেবে কিছু তো একসঙ্গে করা চাই! কাজল ও অজয় তাই সংসারের যাবতীয় কাজকর্মে গড়েছেন দ্বিপক্ষীয় চুক্তি। যে যতোই স্বাধীনভাবে চলুক না কেন, সংসার সাজাতে কিন্তু একে অপরের পরিপূরক। যেকোনো পরিকল্পনা এবং সেটার বাস্তবায়নে একজন আরেকজনের পরামর্শ নিয়েই ছাড়েন।