চীনের সেনাবাহিনীতে নতুন করে যোগ দেয়া পরমাণু শক্তি-চালিত সাবমেরিনে স্থাপন করা হয়েছে দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র-এসএলবিএম। যে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানা সম্ভব বলে দাবি করা হয়েছে চীনা সংবাদমাধ্যমের একটি রিপোর্টে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির নৌবাহিনীর ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গত ৩০ এপ্রিল পরমাণু শক্তিচালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম সাবমেরিন- এসএসবিএন প্রদর্শন করা হয়।
এই সাবমেরিন থেকে জুলং (বিশাল ঢেউ) বা জেএল-৩ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা সম্ভব যা ১০ হাজার কিলোমিটার দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। চীনা নৌবাহিনীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্রটি বলেছে, “আপগ্রেড করার আগে সাবমেরিনটিতে জেএল-২ ক্ষেপণাস্ত্র বসানো ছিল যা দিয়ে শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্ব অংশে আঘাত করা সম্ভব হতো। কিন্তু এখন এটি দিয়ে গোটা আমেরিকা মহাদেশের যে কোনও স্থানে হামলা করা যাবে।”
সূত্রটি আরও বলেছে, জেএল-৩ পরমাণু ওয়ারহেডসহ নানা ধরনের ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম। জেএল-২ ক্ষেপণাস্ত্রেরও একই সক্ষমতা ছিল।
আমেরিকার ফোর্বস ম্যাগাজিন গত বছর মে মাসে জানিয়েছিল, চীনের প্রতিটি জেএল-২ ক্ষেপণাস্ত্রে হিরোশিমায় নিক্ষিপ্ত লিটল বয় বোমার চেয়ে ৬৭ গুণ ধ্বংস ক্ষমতাসম্পন্ন পরমাণু ওয়ারহেড বসানো সম্ভব।
সম্প্রতি চীন আমেরিকার ব্যাপারে অনেক বেশি বিদ্বেষী আচরণ করছে এবং এই দু’দেশের মধ্যে সংঘাত কারো স্বার্থ রক্ষা করবে না বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন যখন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, ঠিক তখনই প্রকাশ করা হলো বেইজিং-এর এই নয়া সামরিক শক্তি।