ফিনিশার হিসাবে সব সময়ই দলের প্রথম পছন্দ মোসাদ্দেক হোসাইন সৈকত। তাঁর দারুণ ফিনিশিংয়েই আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল বাংলাদেশ। আসন্ন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও ফিনিশার হিসেবে দেখা যেতে পারে এই হার্ড হিটারকে।
মোসাদ্দেকও তাই ভালো করেই জানেন, দুর্দান্ত ফিনিশার হতে হলে শেষের দিকে আরও দ্রুত রান করতে হবে তাকে। এই কারণে চোট থেকে ফিরে শুধু এটা নিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
আসলে ম্যাচের ঐ সময়ে বোলাররা ইয়র্কার এবং স্লোয়ার বেশি দিয়ে থাকেন। তাই শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রস্তুতি শুরু করে ইয়র্কার ও স্লোয়ার বলে রান করার বিষয় নিয়েই কাজ করছেন তিনি। এই অলরাউন্ডার মনে করেন, পরিপূর্ণ ফিনিশার হতে হলে এর বাইরে নতুন করে কাজ করার আর কিছুই নেই তাঁর।
মোসাদ্দেক বলেন, ‘আসলে ফিনিশারের যে দায়িত্বটা থাকে, যখন ব্যাটিং করি দলের খারাপ সময়ে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া ও ভালোভাবে ফিনিশ করা- এটাই সব সময় মূল কাজ থাকে। ভালো সময়ে ফিনিশ করার দায়িত্বও আমাদের উপর থাকে। এই সময়টাতে ইয়র্কার ও স্লোয়ার বেশি আসে আমরা জানি। আমি এটা নিয়েই কাজ করছি যে, স্লোয়ার ও ইয়র্কার বলগুলো থেকে কিভাবে রান বের করতে পারবো। এর বাইরে আমি মনে করি নতুন করে কাজ করার কিছু নেই।’
নিউজিল্যান্ড বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে থাকলেও ইনজুরির কারণে মাত্র এক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। মোসাদ্দেক জানিয়েছেন, এখন তিনি সম্পূর্ণ ফিট। পায়ে যে সমস্যা ছিল এখন সেটাও নেই তাঁর।
তিনি বলেন, ‘ইনজুরি থেকে সেরে ওঠার পর আমি মাত্র দুই তিন দিন অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছি। এখানে আসার পরে দুই দিন অনুশীলন করলাম। এখন অনেক ভালো বোধ করছি। পায়ের যে অবস্থা ছিল সেখান থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে। ব্যাটিং, বোলিং করলাম। জিমও করলাম, কোনও কিছুতেই সমস্যা মনে হচ্ছে না।’
এখন পর্যন্ত ৩৫টি ওয়ানডে খেলা মোসাদ্দেক ২ ফিফটিতে ২৭.৪ গড়ে রান করেছেন ৫৪৯টি। যার মধ্যে সর্বোচ্চ ইনিংস অপরাজিত ৫২ রানের। আর বল হাতে ৫.২৩ ইকোনোমি ও ৫৬.২ গড়ে উইকেট নিয়েছেন ১৪টি।