হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) মামুনুল হকের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ এনে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ করেছেন। মামলার নম্বর ৩০।
জান্নাত আরা ঝর্ণা (২৭) ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানার কামারগাঁও গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ওলিয়ার রহমানের মেয়ে।
মামুনুলের সঙ্গে পরিচয় প্রসঙ্গে জান্নাত বলেন, মামুনুল হকের সঙ্গে পরিচয়ের আগে তাদের দুই সন্তান আবদুর রহমান (১৭) ও মোহাম্মদ তামিম (১৩) সুখী ও সুন্দর দাম্পত্য জীবন চলছিল। পরিচয়ের পর থেকে মামুনুল হক তাদের বাসায় (ঝর্নার) অবাধ যাতায়াত করার এক পর্যায়ে মামুনুল হকের খারাপ দৃষ্টি পড়ে তার ওপর, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছোটখাটো মতানৈক্যের মধ্যে কৌশলে প্রবেশ করে মামুনুল হক স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করেন।
অভিযোগে বিচ্ছেদ বিষয়ে বলেন, মামুনুল হকের কুপরামর্শে ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর আমার অসহায়ত্বের সুযোগে মামুনুল হক আমাকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। পরে তার পরামর্শে আমি ঢাকার কলাবাগানে সাবলেট হিসেবে ভাড়া নিয়ে একটি বাড়িতে বসবাস করতে থাকি এবং একটি পার্লারে কাজ শিখতে থাকি। আমার বাসা ভাড়া ও ভরণপোষণ বহন করেন মামুনুল হক। একপর্যায়ে তিনি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
দুই বছর ধরে ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরির নাম করে মামুনুল বিভিন্ন হোটেল ও রিসোর্টে নিয়ে রাত্রী যাপন ও বিয়ের আশ্বাস দিয়ে যৌন লালসা চরিত্রার্থ করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এজাহারে জান্নাত বলেন, সর্বশেষ গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁ রয়্যাল রিসোর্টে তিনি আমাকে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থানকালে কিছু মানুষ আমাদের আটক করে ফেলে। মামুনুল হকের অনুসারীরা রিসোর্টে হামলা করে আমাদের নিয়ে যায়। কিন্তু মামুনুল আমাকে নিজের বাসায় ফিরতে না দিয়ে পরিচিত একজনের বাসায় অবৈধভাবে আটকে রাখেন। কারও সঙ্গে যোগাযোগও করতে দেননি।