দেশে রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক-ফাইভ এর জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত জরুরি জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রের ওষুধ, পরীক্ষামূলক ওষুধ, টিকা ও মেডিকেল সরঞ্জামবিষয়ক কমিটি এ অনুমোদন দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের এক সভায় টিকা অনুমোদনের এ সিদ্ধান্ত হয়। ফলে রাশিয়ার করোনা টিকা আমদানি ও ব্যবহারে আইনগত আর কোনো বাধা থাকল না।
দেশীয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হচ্ছে জানিয়ে অধিদফতরের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, দেশেই উৎপাদন করা হবে এই টিকা। আগামী মাসেই ৪০ লাখ ডোজ পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সরকারি নথিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, কিনতে চাইলে বাংলাদেশকে আগামী মাস অর্থাৎ মে থেকেই টিকা দিতে পারবে রাশিয়া।
এর আগে শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানান, রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক-৫ দেশেই উৎপাদনের জন্য মস্কো-ঢাকা সম্মত হয়েছে। চলছে চীনা ভ্যাকসিন আনার আলাপ-আলোচনাও।
তিনি বলেন, দেশে টিকা উৎপাদন করতে রাশিয়ার প্রস্তাবে আমরা একমত হয়েছি। কারণ আমরা সেটা তৃতীয় দেশেও বিক্রি করতে পারব।