ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো জুভেন্তাসে যোগ দেওয়ার পরে দলকে জিতিয়েছেন বহু ম্যাচ। কিন্তু পার্মার বিপক্ষে সেই রোনালদোর ভুলেই কিনা, হারের শঙ্কাও জেগেছিল ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের। তবে পরে ৩-১ গোলে ঠিকই জিতেছে কোচ আন্দ্রেয়া পিরলোর শিষ্যরা, উঠে এসেছে লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানেও।
ফরোয়ার্ডের কাজ গোল করা আর ডিফেন্ডারদের কাজ গোল ঠেকানো হলেও আধুনিক ফুটবল একজন খেলোয়াড়ের কাছ থেকে চায় তার চেয়ে বেশি কিছু। একজন ফরোয়ার্ডকে তাই গিয়ে দাঁড়াতে হয় ফ্রি কিকের রক্ষণ দেয়ালে, আবার একজন ফুলব্যাককে তাই উঠে আসতে হয় আক্রমণে।
বুধবার রাতে জুভেন্তাসের রক্ষণ দেয়ালে ডাক পড়ে রোনালদোর। গ্যাস্তন ব্রুগমানের নেওয়া ফ্রি কিকটিতে ডিফেন্ড করার সময় রোনালদো মাথা নুইয়ে ফেলেন, বলটাও তার ঠিক ওপর দিয়ে গিয়েই আছড়ে পড়ে জালে। ফলে ২৫তম মিনিটে জুভেন্তাসের মাঠে গোল পেয়ে যায় সফরকারী পার্মা।
এর আগে ম্যাচের শুরু থেকে অবশ্য বল দখল ও আক্রমণে জুভেন্তাসেরই আধিপত্য ছিল। ম্যাচের নয় মিনিটে প্রতিপক্ষ বিপদসীমায় দারুণ সুযোগ পান রোনালদো। তার শটটা দারুণ দক্ষতায় ঠেকান জুভেন্তাস গোলরক্ষক। ২৫ মিনিটে ধারার বিপরীতে গোলটা হজমের পর আক্রমণের ধার বাড়ায় দলটি। এর মিনিট দশেক পর পাওলো দিবালার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর লিওনার্দো বনুচ্চির হেডারও থাকেনি লক্ষ্যে।
বিরতির একটু আগে ডিফেন্ডার অ্যালেক্স সান্দ্রোর গোলে সমতায় ফেরে জুভেন্তাস। কর্নার থেকে পাওয়া বলটা প্রতিপক্ষ বক্সে ম্যাথিয়াস ডি লিখট বাড়ান সান্দ্রোকে, দারুণ দক্ষতায় গোলটা করেন তিনি। এগিয়ে দিতেও খুব একটা সময় নেননি তিনি। বিরতির দুই মিনিট পরই দলকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন সান্দ্রো। কুয়াদ্রাদোর ক্রসে দিবালা মাথা ছোঁয়াতে না পারলেও দূরের পোস্টে থাকা সান্দ্রো গোল করে বসেন।
৬৭ মিনিটে ম্যাচের অনিশ্চয়তা মুছে দেওয়া গোলটাতেও অবদান ছিল কুয়াদ্রাদোর। তার কর্নার থেকেই দারুণ এক হেডারে ৩-১ গোলে দলকে এগিয়ে দেন ডি লিখট।
এর ফলে ৩২ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে জুভেন্তাস পেছনে ফেলল ৩১ ম্যাচে ৬৪ পয়েন্ট পাওয়া আটালান্টাকে, উঠে এসেছে তালিকার তিনে। আর পাঁচে থাকা ন্যাপোলির ঝুলিতে আছে ৪ পয়েন্ট কম।