বাবার সাথে একান্তে আলাপ না করেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাবেন প্রিন্স হ্যারি। একটি অভ্যন্তরীণ সূত্রে একথা জানা গেছে। ডিউক অব এডিনবার্গের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর বাবা এবং ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের সাথে দু’ঘন্টা একসাথে কাটিয়েছিলেন ডিউক অব সাসেক্স, কিন্তু তিনি একা চার্লসের সাথে কথা বলেননি।
প্রাসাদের এক অভ্যন্তরীণ সূত্র দ্য মিররকে জানিয়েছে, সিংহাসনের উত্তরাধিকারী (চার্লস) তার ছেলেটিকে আবার দেখার আশা করছেন, কিন্তু হ্যারি তাকে বলেন যে, তিনি আশেপাশে ঘুরঘর করবেন না।
এটি বোঝা গেছে যে, গর্ভবতী মেঘান মার্কেলকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য হ্যারি খুব শিগগিরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরবেন। মেঘান চিকিৎসকের পরামর্শে ডিউক অফ এডিনবার্গের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উপস্থিতি এড়াতে বাধ্য হন।
এদিকে চার্লস তার ওয়েলশের বাড়িতে চলে গেছেন, যেখানে থেকে তিনি কাজ করছেন এবং বৃহস্পতিবার শেষ হওয়া রাজকীয় শোক পর্যবেক্ষণ করে চলেছেন। প্রিন্স ফিলিপকে আবেগময় বিদায় দেওয়ার পর, চার্লস, হ্যারি এবং উইলিয়াম ফ্রোগমোর কটেজে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
‘উইলিয়াম, হ্যারি এবং চার্লস প্রায় দুই ঘণ্টা পর চলে গেলেন, যা বাবা এবং ভাইদের সাথে আবার কথা বলার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য যথেষ্ট দীর্ঘ ছিল’। তবে মেঘান এবং হ্যারি ওপরা উইনফ্রের সাথে সাক্ষাৎকারটি নিয়ে এখনও প্রচুর অশান্তি রয়েছে, যেখানে ডিউক বলেছিলেন যে, তার ভাই এবং বাবা রাজপরিবারে ‘আটকা পড়েছিলেন’।
সূত্র দ্য মিররকে বলেছে, ‘হ্যারি আশা করেনি যে, সবকিছু পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে উঠবে, তবে তার পরিবারকে দেখে তার অনুভ‚তি তৈরি হওয়ার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। আরো বেশি বিলম্ব হয়ে যাবার আগে এটি সহজ না কঠিন তা বিবেচনার বিষয়। ‘ভেতরে অনেক অবিশ্বাস রয়েছে এবং সবকিছু এখনও খুব কাঁচা’।
অভ্যন্তরীণ সূত্রটি আরো দাবি করেছেন যে, হ্যারি ইউকে আসার আগে তার বাবাকে চিঠি লিখে মেঘানের সাথে রাজপরিবার ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি ব্যাখ্যা করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, ‘সত্যই বলা যায়, হ্যারি বাড়ি ফিরে আসার আগে কী প্রত্যাশা করবেন তা সত্যই জানতেন না, প্রত্যেকে দেখার আগেই এটি কেটে ফেলেছিলেন’।
‘বিষয়গুলো সহজ করার চেষ্টায় তিনি তার বাবার কাছে একটি গভীর ব্যক্তিগত নোট লিখেছিলেন, তবে উত্তেজনা এখনো বাড়ছে এবং বিষয়গুলো যেভাবে আশা করেছিলেন সেভাবে হ্রাস পাচ্ছে না। ‘প্রত্যেকের মনে যা কিছু ছিল তা প্রকাশ করার জন্য সবার মধ্যে একধরনের অব্যক্ত চুক্তি হয়েছিল এবং যুবরাজ ফিলিপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে রানীকে সান্তনা দেয়ার দিকেই ছিল সকলের মনোনিবেশ। শিবিরের ভেতরকার পরিবেশটা এমন ছিল যে, এসব বিষয়ে মনোনিবেশ করার সময় বা স্থান কোনটাই ছিল না, বিশেষত সংশ্লিষ্ট সকলের এরকম শোকঘন পরিবেশে’। সূত্র : মিরর।