spot_img

‘‌লকডাউন ধনীবান্ধব, দরিদ্রবান্ধব নয়’

অবশ্যই পরুন

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউন ধনীবান্ধব, দরিদ্রবান্ধব নয় বলে মন্তব্য করে অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ বলেছেন, সরাসরি খাদ্য সহায়তা দিয়ে অতি দরিদ্রদের হয়তো বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে। কিন্তু ছোট ছোট শিল্প উদ্যোগগুলো ধ্বংস হলে সেগুলো পুনরায় গড়ে তোলা কঠিন হবে। আর মধ্যবিত্তের অবস্থা তো আরও নাজুক।

বুধবার (২১ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।

সেখানে তিনি লিখেছেন, আমার এই কথাগুলো হয়তো অনেকের পছন্দ হবে না, তাও বললাম। করোনার প্রাদুর্ভাবে মৃত্যুর হার ১০ থেকে ১৫ বাকি ৮৫ ভাগ সুস্থ হয়ে যাবে। কিন্তু দারিদ্র্যের কশাঘাতে অপুষ্টির শিকার হলে ধুকে ধুকে মরতে হবে অনেককে।

লকডাউন দিলে মৃত্যু ঝুঁকি কমানোর শান্তিতে থাকে সচ্ছল মানুষ। কিন্তু ক্ষুধার যন্ত্রণায় ভোগা মানুষদের জন্য লকডাউন কোনো শান্তির বার্তা আনে না। বরং তারা করোনার ঝুঁকি নিতে রাজি, কিন্তু আশু ক্ষুধার যন্ত্রণায় ভুগতে রাজি নয়।

লকডাউনে সচ্ছল ধনী মানুষ তার বড় বাসায় সোশ্যাল ডিসটেন্স মানতে পারবে, কিন্তু ঝুঁপড়ি ঘরে থাকা মানুষগুলো লকডাউনে একে অন্যের সঙ্গে গাদাগাদি করে থাকতে বাধ্য হয় দিনের বেশিরভাগ সময়।

লকডাউনে কল-কারখানা খোলা রাখার অনুমতি যারা নিতে পেরেছে তারাই আবার প্রণোদনার অর্থ বেশি আদায় করতে পেরেছে। আর লকডাউনে যাদের কল-কারখানা বন্ধ রাখতে হয়েছে এদের বেশিরভাগই বঞ্চিত হয়েছে কোন রকম প্রণোদনা পেতে।

তিনি আরও লিখেছেন, ধনী দেশগুলোর পক্ষে লকডাউন কার্যকর করা সম্ভব, কিন্তু স্বল্পআয়ের দেশে লকডাউন কার্যকর করা কঠিন। তাই স্বল্পোন্নত দেশে লকডাউন দিয়ে দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমানো যাবে না।

করোনার কারণে শিক্ষায় যে ধনী-দরিদ্র বৈষম্য তৈরি হয়েছে তাতে ভবিষ্যৎ আয়-বৈষম্য আরও বাড়তে পারে।

জীবন-জীবিকার সমন্বয়ে বাঁচতে হলে ভাবতে হবে, এখনই নিতে হবে অন্তত এক বছরের সার্বিক পরিকল্পনা। নয়তো বারবার লকডাউনের অপচয়ে পড়ে অর্থনৈতিক ক্ষতির বোঝা বাড়বে।

সর্বশেষ সংবাদ

মানসিক সমস্যায় ভুগছেন এমবাপ্পে!

ছোট থেকে স্বপ্ন দেখতেন, একদিন রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে খেলবেন। স্বপ্ন এখন বাস্তব। কিলিয়ান এমবাপ্পে রিয়ালের হয়ে গত অগাস্ট থেকেই...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ