করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় রীতিমতো কাঁপছে ভারত। দেশটিতে ভয়াবহভাবে বেড়েই চলেছে ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। গত তিন ধরেই দেশটির দৈনিক করোনা সংক্রমণ দুই লাখ ছাড়িয়ে যাচ্ছে এবং প্রতিদিনই সেই সংখ্যা আগের দিনকে ছাপিয়ে যাচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯২ জন। যা শুক্রবারের তুলনায় প্রায় ১৭ হাজার বেশি। সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশে দৈনিক মৃত্যুও লাফিয়ে বাড়ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৩৪১ জনের। মহামারি শুরুর পর থেকে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যায় যা সর্বোচ্চ। গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর মারা গিয়েছিলেন ১ হাজার ২৯০ জন। এই সংখ্যা এতদিন সর্বোচ্চ ছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় শনিবার ছাপিয়ে গেল সেই সংখ্যাকেও। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভারতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৪৯ জন।
উল্লেখ্য, গত দুই সপ্তাহে ভারতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়েও দেশটিতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১০০ থেকে ২০০-র মধ্যে। এপ্রিলের প্রথম দুই দিনেও তা ছিল ৫০০-র কম। শনিবার সেই সংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে প্রায় সাড়ে ১৩০০-তে।
গত বছর নভেম্বর থেকে দেশটিতে সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী হলেও চলতি বছর মার্চের মাঝামাঝি থেকে তা আবারও বাড়তে শুরু করে। গত এক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে দৈনিক এক লাখেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে করোনা সংক্রমণের সাম্প্রতিক এই উল্লফনের প্রধান কারণ হচ্ছে- করোনা বিধিনিষেধ মানার ব্যাপারে সাধারণ মানুষের উদাসীনতা।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। বিশ্ব এখন করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করছে।