সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে। এছাড়া সেঞ্চুরিয়নের মাঠে এখন স্বাগতিকদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অপরাজিত (৪-০)। তার উপর খর্বশক্তির দক্ষিণ আফ্রিকা দল। সবমিলিয়ে অনেকটা এগিয়ে থেকেই শুরু করেছিল পাকিস্তান। তবে শেষটায় নিজেদের ভুলে সহজ ম্যাচ কঠিন করল পাকিস্তান। ১৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় এক বল আগে ম্যাচ জিতল মাত্র ৩ উইকেটে। ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর ৩-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজও পাকিস্তানের পকেটে।
শুক্রবার রানপ্রসবা সেঞ্চুরিয়নে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠান বাবর আজম। ব্যক্তিগত ১১ রানে ফিরে যান গত ম্যাচের হাফসেঞ্চুরিয়ান এইডেন মারক্রাম। দলীয় সংগ্রহ তখন ১ উইকেটে ১৬ রান। কিন্তু জানেমান মালান ও র্যাসি ভ্যান দার ডুসেন পাল্টা জবাব দিয়ে যাচ্ছিলেন পাকিস্তানি বোলারদের। মালানকে (৩৩) রানে থামিয়ে ফাহিম আশরাফ ভেঙে দেন ৫৭ রানের জুটি। এরপর হ্যানরিক ক্লাসেন (৯), জর্জ লিন্ডে (৩), অভিষিক্ত ওয়াইনে মুলডারের (৬) আসা-যাওয়ার ভিড়ে ব্যক্তিগত অর্ধশত রান তুলে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ডুসেনও (৫২)। তাতে ১৪৪ রানেই অলআউট হয় প্রোটিয়ারা। সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন ফাহিম আশরাফ ও হাসান আলি। হারিস রউফ তুলে নেন ২টি উইকেটে। এছাড়া একটি করে শিকার শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ নওয়াজের।
লক্ষ্য মাত্র ১৪৫। কিন্তু সফরকারিরা শুরুতেই হোঁচট খায় মোহাম্মদ রিজওয়ানের (০) বিদায়ে। ক্রিজে বাবরকে সঙ্গ দিতে নামেন ফখর জামান। দ্রæত রিজওয়ানের বিদায়ে ফখরের ভূমিকাটা গিয়ে দাঁড়ায় অনেকটা ওপেনারের মতোই। তাতে কী আর দমার পাত্র ফখর? চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে মাত্র ২৭ বলেই পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের ৫ম টি-টোয়েন্টি ফিফটি। হাফ সেঞ্চুরির পর যেন দ্রæত ম্যাচ শেষ করার তাড়া ছিল ফখরের। লিজার্ড উইলিয়ামসের দশম ওভারের ২য় বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মুলডারের হাতে ধরা পরার আগে ৩৪ বলে ৬০ রানের কার্যকরি ইনিংস খেলেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। একই ওভারের ৫ম বলে বাবরকে (২৪) হারিয়ে আবারও ধাক্কা খায় পাকিস্তান। ততক্ষণে অবশ্য ১০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ড ৯৯/৩।
এরপর হাফিজ (১০) ও হায়দার আলির (৩) দ্রæত বিদায়ে জাগে হারের সংশয়। খাদের সেই কিনার থেকে দলকে টেনে তুলে রোমাঞ্চকর এক জয় উপহার দেন টেল এন্ডার মোহাম্মদ নাওয়াজ। হাসান আলীকে অপর প্রান্তে দাঁড় করিয়ে রেখে চতুরতার সঙ্গে প্রান্ত বদল করে করে রানের চাকা সচল রেখে দলকে নিয়ে গেছেন জয়ের বন্দরে। এক বল আগে দুই রানের রোমাঞ্চকর সমীকরণ ছক্কায় উড়িয়ে মিলিয়ে অপরাজিত ছিলেন ক্যারিয়ার সেরা ২৫ রানে।