মিয়ানমারে অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। তাদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থানে রয়েছে সেনা সরকার। মিয়ানামারে সামরিক জান্তাবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত পার্লামেন্ট সদস্য, অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভের নেতা ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের এই সরকারে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
গত পহেলা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এরপর থেকে দেশটিতে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। সেনাদের গুলি ও নির্যাতনে এ পর্যন্ত সাত শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। এরই মধ্যে পলাতক রাজনৈতিক নেতারা ও সু চির দলের ক্ষমতাচ্যুত আইনপ্রণেতারা নিজেদের সংগঠিত করছেন। জেনারেলরা নয়, বরং তারাই যে দেশের বৈধ রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ তা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে কাজ করছেন তারা।
জাতীয় ঐক্যের সরকারের ঘোষণা দিয়ে গণতান্ত্রিক কর্মী মিন কো নাইং ১০ মিনিটের ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘দয়া করে জনগণের সরকারকে স্বাগত জানান।’
তিনি জানান, জনগণের আকঙ্খা ছিল জাতীয় ঐক্যের সরকারের। প্রাথমিকভাবে এই সরকারের কয়েকটি পদ নির্ধারিত হয়েছে।
সামরিক শাসনের মূলোৎপাটনে তার কাজ করছেন জানিয়ে মিন কো বলেন, ‘আমরা এর মূলোৎপাটনের চেষ্টা করছি, তাই আমাদের অনেক আত্মত্যাগ করতে হবে।’
তিনি জানান, এই ঐক্যের সরকারের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হবে আন্তর্জাতিক সমর্থণ ও অনুমোদন আদায়।
জাতীয় ঐক্যের সরাকরের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী ড. সাসা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমাদের জনগণের জন্য নতুন দিন এসেছে, মিয়ানমারের জন্য নতুন যুগের সূচনা হয়েছে।’