মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ধনী পাড়ার বাসিন্দারা স্থায়ীভাবে শহর ছেড়েছেন। নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে ধনী মহল্লার প্রায় ১১ শতাংশ লোক করোনা মহামারিতে স্থায়ীভাবে নিউইয়র্ক ছেড়েছেন।
ম্যানহাটনের হেলস কিচেনের আশেপাশে ৪০ থেকে ৫৯তম স্ট্রিট পর্যন্ত চারটি জিপ কোডে প্রস্থানের হার সবচেয়ে বেশি। এই কোডগুলোর এলাকা থেকে অন্তত ১২ হাজার বাসিন্দা স্থায়ীভাবে নিউইয়র্ক ছেড়েছেন।
এই অঞ্চলটিতে হাজার হাজার তরুণ পেশাদার রয়েছেন, যারা মিডটাউনের ফিনান্সিয়াল জেলার আর্থিক কেন্দ্রগুলোতে কাজ করেন। পাশাপাশি নিকটবর্তী ব্রডওয়ে থিয়েটারগুলোতে কাজ করা ক্রিয়েটিভ কর্মীরা। গত মার্চ থেকে থিয়েটারগুলো বন্ধ রয়েছে।
বাণিজ্যিক রিয়েল এস্টেট সংস্থা সিবিআরইর ২৯ মিলিয়ন অ্যাড্রেস বিশ্লেষণ করে দেখেছে যে, নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের মিডটাউনের জনসংখ্যার প্রবাহ আশপাশের অঞ্চলে কেন্দ্রিভূত হয়েছে।
আপার ইস্ট সাইডের সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২০ সালে ৩৪ হাজার ৬০০ বাসিন্দা স্থায়ীভাবে ওই অঞ্চলের পাঁচটি জিপকোড এরিয়া থেকে প্রস্থান করেছেন।
সংস্থাটি স্থায়ীভাবে চলে গেছে এমন লোকদের মূল্যায়ন করেছে, যারা দ্বিতীয় বাড়ির জন্য সিটির অ্যাপার্টমেন্টটি বদলেছেন- তাদের হিসাবে 2020 সালের বসন্তে নিউইয়র্কে মহামারি কঠোর আঘাত হানে।
বাণিজ্যিক রিয়েল এস্টেট সংস্থা সিবিআরইয়ের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছর নেট যাত্রা সংখ্যার তুলনায় নিউ ইয়র্ক সান ফ্রান্সিসকোতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
সিবিআরই গবেষণার পরিচালক এরিক উইলেট, যারা এই গবেষণাটির তত্ত্বাবধান করেছিলেন, তারা গথামিস্টকে বলেছিলেন যে যারা রয়েছেন তাদের বেশিরভাগই ভ্রাম্যমান তরুণ পেশাদার ছিলেন।
উইললেট গথামিস্টকে বলছিলেন, ‘শহর ছাড়ার প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। এদের মধ্যে ৩৩ শতাংশ ২০১৯ সালের। ২০২০ সালে এই সংখ্যা আরও দশ শতাংশ বেড়েছে।
গত অক্টোবরে ম্যানহাটনের বাড়িভাড়া ২৯৯০ ডলার কমেছে। যা ২০১১ সাল থেকে সর্বনিম্ন।