দুজনই করোনায় আক্রান্ত। শ্বাসকষ্টের জন্য তাদের অক্সিজেন দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু হাসপাতালের আইসিইউ ওয়ার্ডতো দূরের কথা জেনারেল ওয়ার্ডেও বিছানার সংকট। জীবন বাঁচাতে এক বিছানাতেই অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে দুই রোগীকে।
চিত্রটি ভারতের রাজধানী দিল্লির সবচেয়ে বড় করোনা চিকিৎসাকেন্দ্র লোক নায়েক জয় প্রকাশ নারায়ন হাসপাতালের। একের পর এক অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী আসছে। অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে কেউ আসছে বাসে করে, আবার কাউকে আনা হচ্ছে অটোরিকশায় করে। হাসপাতালের সবচেয়ে কম বয়সী রোগীটি হচ্ছে এক নবজাতক।
হাসপাতালের পরিচালক সুরেশ কুমার এনডিটিভি অনলাইনকে বলেছেন, ‘আমরা একেবারেই সামর্থ্যের বাইরে। আমাদেরকে ইতোমধ্যে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত রোগীদের সেবা দিতে হচ্ছে।’
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুই লাখ ৭৩৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্তকে শনাক্ত করা হয়েছে। এটিই এখন পর্যন্ত দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। এ নিয়ে টানা নবম দিনের মতো দেশটিতে দৈনিক এক লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হলো। একই দিন দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও এক হাজার ৩৮ জন। করোনায় এ পর্যন্ত ভারতে মারা গেছেন এক লাখ ৭৩ হাজার ১২৩ জন।
রাজধানী দিল্লিতে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বেড়েছে। নতুন করে আক্রান্ত ১৭ হাজার ২৮২ জন। মৃত্যু সংখ্যা ১০০ পেরিয়েছে। দিল্লি হাসপাতালের এক বিছানায় দুই করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মর্গে চাপ বেড়ে যাওয়ায় করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের দেহ ওয়ার্ডের বাইরে পড়ে থাকছে দীর্ঘ সময়।
লোক নায়েক জয় প্রকাশ নারায়ন হাসপাতালের পরিচালক সুরেশ কুমার বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) ১৫৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এদের প্রায় সবার অবস্থাই গুরুতর।’
সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সপ্তাহের শেষ দিনগুলোতে কারফিউ ঘোষণা করেছেন। এই সময়ে বন্ধ থাকবে অডিটোরিয়াম, মল, জিম, সিনেমা হল এবং স্পা সেন্টার।
অবশ্য সুরেশ কুমার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘মানুষ করোনার নির্দেশনা মানছে না। তারা স্রেফ বেপরোয়া আচরণ করছে।’