আন্দ্রে রাসেলের বোলিং তোপের মুখে ১৫২ রান করেও অবিশ্বাস্য জয় পেলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। রাহুল চাহারের স্পিনে ব্রেক থ্রু আনার পর তারা কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ১৪২ রানে থামিয়েছে। দারুণ প্রত্যাবর্তনের নজির গড়ে পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা প্রথম জয় পেলো ১০ রানে।
নিতিশ রানা ও শুভমান গিলের উদ্বোধনী জুটিতে দাপটে শুরু করে কলকাতা। ১৫৩ রানের লক্ষ্যে পাওয়া প্লেতে বিনা উইকেটে তারা করে ৪৫ রান। নবম ওভারে চাহার বল হাতে নেওয়া পর্যন্ত সবই ছিল কলকাতার পক্ষে। ওই ওভারের পঞ্চম বলে শুভমান গিলকে (৩৩) ফিরিয়ে শুরু। টানা চার ওভারের প্রত্যেকটিতে একটি করে উইকেট নিয়ে শেষ করেন চাহার।
তাতে ৭২ রানে প্রথম উইকেট হারানো কলকাতার ১২২ রানেই নেই ৪ উইকেট। ৪০ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে টানা দ্বিতীয় ফিফটি করা নিতিশকে চতুর্থ শিকার বানান চাহার। কলকাতা ওপেনারের ৪৭ বলে আসে ৫৭ রান। এছাড়া রাহুল ত্রিপাঠী (৫) ও অধিনায়ক এউইন মরগ্যানকে মাঠছাড়া করেন মুম্বাই লেগব্রেকার। স্কোরবোর্ডে আর কোনও রান যোগ না হতে সাকিব আল হাসানকে ফেরান ক্রুনাল পান্ডিয়া। রোহিত শর্মাকে প্রথম বলে চার মারা বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান ৯ বলে ৯ রান করেন।
চাপে পড়া কলকাতার হাল ধরেন দিনেশ কার্তিক ও আন্দ্রে রাসেল। যদিও সাকিবকে আউটের তিন বল পরই রাসেলের ফিরতি ক্যাচ ছেড়ে দেন ক্রুনাল। আবারও তার বলে জীবন পান উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান। ৫ রানে তার ক্যাচ ফেলেন যশপ্রীত বুমরা। দুইবার জীবন পেয়েও নায়ক হতে পারেননি রাসেল।
শেষ দুই ওভারে ১৯ রান দরকার ছিল কলকাতার। ১৯তম ওভারে বুমরা প্রথম চার বলে একটি করে রান দেওয়ার পর টানা দুই বল ডট দেন। মাত্র ৪ রান দিয়ে বুমরা চাপে ফেলেন কলকাতাকে। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। ট্রেন্ট বোল্ট তা প্রতিহত করার দায়িত্ব পান এবং প্রথম দুই বলে একটি করে রান দেওয়ার পর ফিরতি ক্যাচে রাসেলকে ফেরান। নতুন ব্যাটসম্যান প্যাট কামিন্স এসেই বোল্ড হন। হরভজন সিং দুই রান নিয়ে নিউ জিল্যান্ড পেসারকে হ্যাটট্রিক করতে দেননি। শেষ বলে ১১ রান নেওয়া কলকাতার জন্য ছিল অসম্ভব।