রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে তুরস্ক সফরে গিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। সেখানে তিনি তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
ইউক্রেনের যখন মারাত্মক সামরিক উত্তেজনা চলছে তখন তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে জেলেনস্কি এবং এরদোগানের মধ্যে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলো। রুশপন্থি গেরিলাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা নিয়ে দনবাস এলাকা নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তের কাছে রাশিয়া সামরিক উপস্থিতি জোরদার করছে। এছাড়া কিয়েভকে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে মস্কো।
শনিবার (১০ এপ্রিল) ইস্তাম্বুল বৈঠকে এরদোগান এবং জেলেনস্কি শুল্কমুক্ত বাণিজ্য, পর্যটন ও ক্রীড়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। দুই প্রেসিডেন্টের বৈঠকের পর মন্ত্রীদের উপস্থিত বেশ কয়েকটি চুক্তি সই হয়।
তুরস্কের নিয়ন্ত্রণে থাকা বসফরাস প্রণালী ব্যবহার করে দুটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ কৃষ্ণ সাগরে পৌঁছেছে। তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ৪ মে পর্যন্ত কৃষ্ণসাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ দুটি অবস্থান করবে।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) দিবাগত রাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে ফোন করেন এবং ইউক্রেন সংকট ও কৃষ্ণসাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। টেলিফোন আলাপে রুশ প্রেসিডেন্টকে এরদোগান আশ্বস্ত করেন, ইউক্রেনের সঙ্গে সহযোগিতার অর্থ এই নয় যে, আঙ্কারা মস্কোর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, কোনো পক্ষ না নিয়ে তুরস্ক এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী হিসেবে হিসেবে ভূমিকা পালনের চেষ্টা করছে।