মিয়ানমারে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারীরা দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি ছোট শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর সামরিক অভিযান ও দমন-পীড়ন ঠেকাতে শিকারি রাইফেল ও আগুনের গোলা ছুঁড়ে প্রতিরোধ করেছে। এরপরও বৃহস্পতিবার আরও অন্তত ১১ বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাউ ও ইরাবতীর খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার তাজে শহরে বিক্ষোভকারীদের দমন করতে প্রাথমিকভাবে ছয় ট্রাক সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে বিক্ষোভকারীরা বন্দুক, ছুরি ও আগুনের গোলায় পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুললে আরও পাঁচ ট্রাক সেনা এনে সেখানে মোতায়েন করা হয়।
অ্যাসিসটেন্স অ্যসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) জানিয়েছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখল করার পর শুরু হওয়া সহিংসতায় নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক নিহত মানুষের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রাণহানির সংখ্যা ছিল ৫৯৮ জন।
তাজে শহরের অবস্থা কালে নামের একটি শহরের কাছে। ওই কালে শহরে বুধবার একই ধরনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়। এএপিপি জানিয়েছে, অং সান সু চির সরকারকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভরত সাধারণ মানুষের ওপর সরাসরি গুলি, গ্রেনেড ও মেশিনগান ব্যবহার করছে জান্তা সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী।
এ নিয়ে সামরিক জান্তা কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে জান্তা সরকার বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের জনপ্রিয় অভিনেতা ও মডেল পেইং তাখোনকে গ্রেফতার করেছে। অভ্যুত্থানের সমালোচনা করায় তাকে গ্রেফতার করা হলো। এএপিপি জানিয়েছে, অভ্যুত্থানের পর আটক মানুষের সংখ্যা ২ হাজার ৮৮৭ জন।